মেয়র জন বিগসের উদ্বেগ
হার্ড ব্রেক্সিট হলে টাওয়ার হ্যামলেটস প্রায় ৬ হাজার চাকুরী হারাবে
কোন সমঝোতা বা চুক্তি ছাড়া হার্ড ব্রেক্সিট হলে টাওয়ার হ্যামলেটসের ৫ হাজার ৭শ চাকুরী চলে যাবে বলে লন্ডন মেয়র সাদিক খান জানিয়েছেন। আর তার এই তথ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস।
লন্ডন মেয়র সাদিক খানের মতে টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের জন্য এটি একটি দু:সংবাদ এবং এর মানবিক ও আর্থিক ক্ষতি ভয়ংকর। আর এজন্য তিনি সরকারকে যে কোন ব্রেক্সিট ডিলের সময় এবিষয়গুলো মাথায় রাখার অনুরুধ জানিয়েছেন।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস লন্ডন মেয়র সাদিক খানের এই তথ্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারে হার্ড ব্রেক্সিট ত্পরতা সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, আমার এলাকার বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ী কমিউনিটি রাজনৈতিক মঞ্চের অংশীদার না হওয়া সত্ত্বেও তারা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।
জন বিগস বলেন, এটা আরো উদ্বেগের যে, দীর্ঘদিন ধরে উপভোগ করে আসা মানবাধিকারও সংকুচিত করে আনার সুযোগ খোঁজা হচ্চেছ। কিন্তু আমাদের অবশ্যই একে প্রশ্ন করতে হবে এবং এদেশে বসবাসরত ইউ সিটিজেনদের অধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি জানান, পার্লামেন্টে লেবার এমপিরা ব্রেক্সিট উত্তর সময়ের জন্য মানবাধিকার প্রশ্নে একটি চার্টার প্রণয়নের জন্য চাপ দিচ্চেছন এবং বর্তমানের মতোই একে বহাল রাখার লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন।
মেয়র জন বিগস বলেন, কাউন্সিলের ওভার ভিউ স্ক্রুটিনি কমিটিকে ব্রেক্সিটের কারনে আমাদের বাসিন্দা, কর্মজীবি, ফান্ডিং এবং রিজেনারেশনের উপর কী প্রতিক্রিয়া হবে তা যাচাই করে দেখার জন্য আহধ্বান জানিয়েছি। এছাড়া আমরা শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং আমাদের বিভিন্ন পার্টনার যেমন এনএইচএস, স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পুলিশ, হাউজিং এসোসিয়েশন ও অন্যান্য পাবলিক সার্ভিস এর সাথে ব্রেক্সিটের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাজ করছি।
মেয়র বলেন, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই যারা ইতিমধ্যে এদেশে রয়েছেন তাদের সকল অধিকার বজায় রাখতে হবে এবং মানবধিকার বিষয়ে লেবার পার্টির চার্টারকে বাস্তবায়ন করতে হবে।