ফ্লোরিডায় স্কুলে গুলিতে নিহত ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পার্কল্যান্ডে একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় গোলাগুলির পর বন্দুকধারী হিসেবে ওই স্কুলের সাবেক ছাত্র নিকোলাস ক্রুজকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে ১৪ জনকে হাসপাতালে পাঠানোর তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র স্কট ইসরায়েল ওই ঘটনায় জড়িত বন্দুকধারীকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটক ক্রুজকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, নিহতদের মধ্যে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রয়েছেন। এরমধ্যে স্কুল ভবনের ভেতরে ১২ জন, বাইরে ২ জন, রাস্তায় ১ জন এবং হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়।
নিকোলাস বাল্টজার নামে ১৮ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনা শুরুর সময় ত্রিকোণমিতি ক্লাসে ছিলেন তিনি। স্কুল ছুটির ২ মিনিট আগে ফায়ার এলার্ম বেজে ওঠে। এসময় শিক্ষার্থীরা এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। ছয়টি গুলির শব্দ ও সব গুলির শব্দই খুব কাছে থেকে শুনতে পান বলেও বলেন তিনি।
এদিকে, হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ভয়াবহ ফ্লোরিডার শুটিং-এর শিকার পরিবারদের জন্য আমার প্রার্থনা এবং সমবেদনা রইল। কোনো শিশু, শিক্ষক বা অন্য কেউ কখনও আমেরিকান স্কুলে অসুরক্ষিত বোধ করবেন না।
এছাড়া, হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি লিন্ডসে ওয়াল্টার জানিয়েছেন, ঘটনা সম্পর্কে প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছে হোয়াইট হাউস।
২০১২ তে কানেটিকাটের একটি স্কুলে গুলিতে ২৬জন মারা যাওয়ার পর এটি কোনো স্কুল প্রাঙ্গনে সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনা। ‘এভরিটাউন ফর গান সেফটি’ নামের একটি সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, এই বছরে এনিয়ে ১৮বার যুক্তরাষ্ট্রে কোনো স্কুলের ভেতরে বা স্কুল প্রাঙ্গনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলো।
২০১৩ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে ২৯১টি। গড়ে প্রায় প্রতি সপ্তাহে একটি করে।