বাংলাদেশ-কসোভো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন
বাংলাদেশ ও ইউরোপের দেশ কসোভোর মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বিষয়ে যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষরিত হয়।
নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও কসোভোর কনসাল জেনারেল রাষ্ট্রদূত টেউটা সাহাতকাইজা স্ব স্ব দেশের সরকারের পক্ষে এই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে বন্ধুত্বের সুদৃঢ় সম্পর্ক রচনা ও পারস্পারিক সহযোগিতার দিগন্ত বিস্তৃত করবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে বলে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর মাধ্যমে উভয় দেশ জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও আঞ্চলিক সংহতি বজায় রাখা, অন্য রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করাসহ জাতিসংঘের নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক আইনসমূহের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
গত বছর বাংলাদেশ কসোভোকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন চলাকালীন কসোভোর রাষ্ট্রপতি হাসিম থাচির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কসোভোতে স্বাধীনতার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অংশগ্রহণ করবেন।
কসোভো ইউরোপের বলকান অঞ্চলের একটি রাষ্ট্র, যা আগে সার্বিয়ার একটি প্রদেশ ছিলো। প্রদেশটি ১৯৯৯ সাল থেকে জাতিসঙ্ঘ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বেশ কিছু দেশ কসোভোকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিলেও রাশিয়া এর বিরোধিতা করেছে। আর এ কারণে পশ্চিমা চাপ সত্যেও কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ বেশ সময় নিয়েছে।
কসভোর সীমান্তে মন্টেনিগ্রো, আলবেনিয়া ও ম্যাসিডোনিয়া অবস্থিত। এর জনসংখ্যা ২০ লাখ, যাদের বেশিরভাগই জাতিগতভাবে আলবেনীয়।