টি-টোয়েন্টিতে ৭৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ
পরাজয় যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। একের পর এক হার ক্রিকেটপ্রেমিদের করছে হতাশ। বাজে পারফরম্যান্সে ক্রিকেটারদের নিবেদন নিয়েও উঠছে প্রশ্ন! অবশেষে সিলেটেও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭৫ রানে হেরেছে মাহমদুউল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সিলেটে রেকর্ড ২১০ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১৩৫ রানে গুটিয়ে বাংলাদেশ। ৭৫ রানের বিশাল জয়ে শ্রীলঙ্কা দুই দলের ব্যবধান করেছে স্পষ্ট।
ব্যাটিং-বোলিং কোনো কিছুতেই পারেনি বাংলাদেশ। বোলারদের বিবর্ণ বোলিংয়ের পর ব্যাটসম্যানদের ছন্দহীন ব্যাটিং; কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। অগোছালো বাংলাদেশের আরেকটি চিত্র আজ ফুটে উঠেছে সিলেটে। ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ থেকে নিরব দর্শক হয়ে ঘরের মাঠে বারবার লঙ্কানদের বিজয় উৎসব দেখছে টাইগাররা। এবারও ভাগ্য পাল্টাল না বাংলাদেশের।
টেস্ট সিরিজ হারের পর আজ টি-২০ সিরিজ হাতছাড়া হওয়ায় পরাজয়ের হ্যাটট্রিক করলো লাল-সবুজের দল। মাসব্যাপি তিন ফরম্যাটের সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টাইগারদের প্রাপ্তি শুধু ওয়ানডেতে একমাত্র জয়।
আগের দিন সিরিজ ড্রর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন দলনেতা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে যে যোজন যোজন ফারাক, সেটা আবারও প্রমাণ করলো বাংলাদেশের ওরা ১১ জন। তারা হাথুরুবাহিনীর কাছে ম্যাচ হারলো ৭৫ রানে। সেই ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে হারের ষোলকলা পূর্ণ করলো রিয়াদবাহিনী।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং না নিয়ে ফিল্ডিং বেছে নেন দলনায়ক রিয়াদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে শিশির সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত রিয়াদের। তার এই সিদ্ধান্ত পুরোটাই ভুল প্রমাণিত করে রানের পাহাড় গড়ে লঙ্কানরা। টি-২০ ক্রিকেটে এটি তাদের পঞ্চম আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
টাইগার বোলারদের ধারাবাহিক পিটিয়ে ওপেনিং জুটি ৯৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে। সৌম্যর হাতে জুটি ভাঙলেও লঙ্কানরা যেনো আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। জবাব দিতে বাংলাদেশকে টি-২০ ক্রিকেটে রানের রেকর্ড গড়তে হতো। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে ১৯৩ রানের বড় ইনিংস খেলেও ৬ উইকেটে হারে রিয়াদরা। আজ ৮ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় স্বাগিতদের ইনিংস। মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ৪১, তামিম ২৯ ও সাইফউদ্দিন ২০ রান করেন।
বাংলাদেশ একাদশ : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, আবু জায়েদ রাহী, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার, আরিফুল হক ও নাজমুল ইসলাম অপু।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: উপুল থারাঙ্গা, দানুশকা গুনাথিলাকা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, জীবন মেন্ডিস, থিসারা পেরেরা, দাশুন শানাকা, আমিলা আপোনসো, আকিলা ধনঞ্জয়, শেহান মাদুশাঙ্কা, ইসুরু উদানা।