ব্রিটিশ গবেষকের ৩২ বছরের কারাদণ্ড
ডার্কওয়েবে প্রকাশ করতে বিকৃত রুচির ছবি পাঠাতে অসংখ্য নারী-পুরুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার দায়ে যুক্তরাজ্যের আদালত এক গবেষককে ৩২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
চার বছর বয়সী এক ছেলেকে ধর্ষণে উৎসাহিত করাসহ ১৩৭ ধরনের অপরাধের কথা স্বীকার করার পর সোমবার বার্মিংহ্যামের ক্রাউন আদালতে ড. ম্যাথিউ ফেলডারের (২৯) সাজার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।-খবর রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গ্র্যাজুয়েট ১৩৭টি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। অন্তত ৪৬ জন তার টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন।
এ ভূ-পদার্থবিদ ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ফেলডার মূলধারার অনলাইন বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইট ও অনলাইন ফোরামে নিজেকে হতাশ নারী শিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতেন। বিভিন্নজনকে বোকা বানিয়ে এর পর তাদের নগ্ন ও স্বল্পবসনা ছবি জোগাড় করতেন।
পরে সেসব ছবি হাতিয়ার বানিয়ে ওই ব্যক্তিদের বিভিন্ন বিকৃত রুচির কাজ করতে বাধ্য করতেন এবং সেসব কাজের ছবি তাকে পাঠাতে বলতেন।
তার কথায় রাজি না হলে ব্যবহারকারীদের নগ্ন ও স্বল্পবসনা ছবিগুলো পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের কাছে পাঠানোর হুমকি দিয়ে কাজ হাসিল করতেন এ তরুণ গবেষক। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের পরিচয় গোপন রাখা ফেলডারকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানসহ ইউরোপের পুলিশ ও যুক্তরাজ্যের সিক্রেট সার্ভিস জিসিএইচকিউরও সহায়তা নেয় এনসিএ।
চার বছরের চেষ্টার পর গত বছরের জুনে এ গবেষককে আটক করতে সক্ষম হয় তারা। অক্টোবরে ফেলডারের বিরুদ্ধে ধর্ষণে উৎসাহ, শিশুদের অমর্যাদাকর ছবি ব্যবহার করে যৌন নিপীড়নে উসকানি দেওয়াসহ ১৩৭ ধরনের অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।