মার্চের মধ্যে দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের থ্রিজি সেবা
মার্চের মধ্যেই প্রতিটি জেলায় থ্রিজি সেবা দেবে গ্রামীণফোন। সোমবার সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ। আর সামনের অক্টোবর থেকেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে গ্রাহকদের তৃতীয় প্রজন্মের তরঙ্গ সেবা দেবে গ্রামীণফোন-এই খবর রোববারই দিয়েছিল। নভেম্বরে চালু হবে নারায়ণগঞ্জে।
বিবেক সুদ জানান, অক্টোবরের শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় থ্রিজি সেবা চালু করার পর নভম্বেরে ঢাকা জেলার অন্যান্য অংশ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে যাবে গ্রামীণফোন। আর ডিসেম্বরের মধ্যে সাত বিভাগীয় শহরেই গ্রামীণফোনের থ্রিজি সেবা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিবেক।
বিবেক সুদ বলেন, “থ্রিজি সেবা গ্রামীণফোন এবং বাংলাদেশের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল। একই সঙ্গে দেশ প্রবেশ করছে তথ্যকেন্দ্রিক যুগে।”
এসময় থ্রিজি সেবা গ্রহণে গ্রাহকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য তারা সিমলেস ট্রান্সফার চালু করবেন বলে জানান বিবেক সুদ।
গ্রামীণফোনের চিফ টেকনোলজি অফিসার তানভির মোহাম্মদ বলেন, যেকোনো অপারেটরের আগেই তারা থ্রিজি সেবা চালু করছেন। এজন্য তারা অনেক আগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। এখন থ্রিজি যন্ত্রাংশ আনতে বিটিআরসি অনাপত্তি ও অন্যান্য অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা কাজ শুরু করবেন।
তিনি বলেন, “বিশ্বের থ্রিজি বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনরের অনেক দেশে থ্রিজি সেবা পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
গ্রামীণফোনের বেশকিছু কর্মকর্তা নরওয়ে, সুইডেনে গিয়ে থ্রিজি বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা নিয়ে এসেছে। সবমিলিয়ে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে সক্ষম হবো।”
প্রসঙ্গত, গ্রামীণফোন রোববার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত নিলামে ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) লাভ করে। এই তরঙ্গ নিলামে অংশ নেয়া অন্য অপারেটরদের দ্বিগুণ। গ্রামীণফোন ছাড়া রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক থ্রিজি সেবা চালুর লাইসেন্স পেয়েছে। রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে থ্রিজি সেবা চালু করেছে।