বিশ্বনেতারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন: অ্যামনেস্টি
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, বিশ্বনেতারাই আগ্রাসী নীতি ও ঘৃণাত্মক মন্তব্যের মাধ্যমে মানবাধিকার লংঘন করেছেন।
বৃহস্পতিবার ১৫৯ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত “দ্য স্টেস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’স হিউম্যান রাইটস” শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এর মত নেতারা ২০১৭ সাল জুড়ে তাদের আগ্রাসী নীতি বাস্তবায়ন করেছেন। এছাড়া মানবাধিকার সংস্থাটি অধিকার লঙ্ঘন করার তালিকায় মিশর, ফিলিপাইন, ভেনেজুয়েলা, মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও ইয়ামেনের নাম তুলে ধরে।
বিশ্বের ১৫৯টি দেশের ওপর মানবাধিকার সংকট সংক্রান্ত সমীক্ষা চালানোর পর অ্যামনেস্টি জানায়, গৃহযুদ্ধের পর ইয়ামেনের ২২ মিলিয়ন নাগরিকের মধ্যে ৭৫ ভাগের জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। অন্যদিকে মিয়ানমারে দেশটির সরকারের অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালেই ৬ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যা বিশ্বের সবচাইতে দ্রæত বর্ধনশীল শরণার্থী সংকট। অ্যামনেস্টি ছয়টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ট্রাম্পের অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা, ভেনেজুয়েলা কর্তৃপক্ষের নির্বিচারে বিক্ষোভকারীদের আটক, ফিলিপাইনে মাদকবিরোধী যুদ্ধে নির্বিচারে হত্যাকে মানবাধিকার বর্হিভূত কাজ হিসেবে চিহ্নিত করে।
অ্যামনেস্টির মহাসচিব সলিল শেঠি বলেন, বিশ্বজুড়ে এখন ঘৃণা ও শঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সংকটের এই সময়ে খুব কম সরকারপ্রধানই মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে সিসি, দুর্তার্তে, মাদুরো, পুতিন, ট্রাম্প ও শি’র মত নেতারা লাখ লাখ মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করছেন। অ্যামনেস্টি আরো জানায়, ট্রাম্প মানবাধিকারের জন্য বিপজ্জনক প্রেসিডেন্ট। এই সময় সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের ওপর ট্রাম্পের বৈষম্যমূলক আচরণ, গণমাধ্যমের প্রতি তীর্যকাত্মক মন্তব্য ও অভিবাসন-বিরোধী নীতির কথা তুলে ধরে। অ্যামনেস্টি জানায়, বিশ্বনেতাদের এমন আগ্রাসী নীতি সামাজিক আন্দোলন ও অশান্তি উস্কে দিচ্ছে ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভের সূচনা করেছে।