৫ দিনে সরকারি বাহিনীর হামলায় নিহত ৪০৩
সিরিয়ায় নারী-শিশু খুন হচ্ছে আর পৃথিবী চেয়ে চেয়ে দেখছে
সিরিয়ার পূর্ব ঘৌটায় নারী আর শিশুদের পশুর মতো খুন করা হচ্ছে আর পৃথিবী শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। একটি আহবানই বলে দিচ্ছে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত সিরিয়ার করুণ চিত্র। ক্ষমতা আর দখলদারিত্বের বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষেরা, বিশেষ করে নারী আর শিশুরা। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে অনতিবিলম্বে সরকারবাহিনীর নির্বিচার অভিযান, মানবাধিকার লংঘন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছে সিরিয়াভিত্তিক নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার সংগঠন সিরিয়ান উইমেনস পলিটিক্যাল মুভমেন্ট।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এই আহবান জানায়।
বিদ্রোহী অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলীয় ঘৌটায় রবিবার থেকে শুরু হওয়া সরকারি বিমান হামলায় পাঁচদিনে কমপক্ষে ৪০৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে ঘৌটায় সংঘাত বন্ধ করে জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন সিরিয়ায় নিযুক্ত বিশেষ দূত স্টাফেন ডে মিসটুরা।
জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, এসপ্তাহে পূর্ব ঘৌটায় আকাশ আর স্থলপথে সরকারিবাহিনী যে হামলা চালিয়েছে তা ধ্বংসযজ্ঞ। হাসপাতাল, স্কুল, বাজার কিংবা বাড়ি কোনকিছুই হামলার লক্ষ্য থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
এতে বলা হয়, শুধু মাত্র শেষ তিনদিনেই ২৫০ জন সাধারণ নাগরিক মারা গেছে।আহত হয়েছে হাজারো নাগরিক। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত আসাদ সরকার পরিচালিত হামলায় ৪২ জন নারী এবং ৬০ শিশু নিহত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু বিরোধী মত এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতেই অঞ্চলটিতে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, জনশূণ্য করা হচ্ছে।
হামলার ভয়ভহতার বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার পূর্ব ঘৌটায় নারী আর শিশুদের পশুর মতো খুন করা হচ্ছে আর পৃথিবী শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।আন্তর্জাতিক আইন লংঘন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আহবান উপেক্ষ করে রাশিয়া এবং ইরানের সহায়তায় আসাদ সরকার নির্বিচারে সাধারণ মানুষদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্চে।
এতে বলা হয়, নির্বিচার এ হত্যাকান্ড আর যুদ্ধাপরাধের পরও আসাদ এখনও বিচলিত বোধ করেননি। আর তাই তার স্বেচ্ছাচারিতা ভয়ংকর থেকে ভয়ংকরতর হচ্ছে।
যেকোনো উপায়েই হোক সিরিয়ার পূর্ব ঘৌটায় অবরোধ পত্যাহার এবং অভিযান বন্ধ করে যুদ্ধ বিরতির উদ্যেগ নিতে আন্তর্জাতিক সকল পক্ষেক আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।