খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষ
নথি আসার পরই জামিনের বিষয়ে আদেশ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। নিম্ন আদালতের নথি আসার পরই হাইকোর্ট জামিন আবেদনের ওপর আদেশ দেবেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের ডিভিশন বেঞ্চ আজ রবিচার এই আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মো. আলী শুনানিতে বলেন, খালেদা জিয়া একজন বয়স্ক নারী, সর্বপরি তিনি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এবং তার যে সাজা দেওয়া হয়েছে তা লঘু প্রকৃতির। আদালত এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাকে জামিন দিতে পারে।
জামিনের তীব্র বিরোধীতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এই মামলাটি বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি হতে সাড়ে নয় বছর সময় লেগেছে। আজ যদি জামিন দেওয়া হয়, তাহলে হাইকোর্টে মূল আপিলের কখনোই শুনানি হবে না। আদালতের উচিত নিম্ন আদালতের নথি আসার পরই জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা।
এসময় দুদকের পক্ষে আইনজীবী খোরশেদ আলম খান শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নথি আসার পরা হাইকোর্ট জামিন বিষয়ে আদেশ দেবে বলে জানায়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। আবেদনে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জামিনের জন্য ৩১টি যুক্তি দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এ রায়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন।
রায়ের পর পরই বকশীবাজারের আদালত থেকে খালেদা জিয়াকে পাশের নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৮ দিন ধরে সেখানেই তিনি বন্দি আছেন।