ট্রাম্পের করনীতিতে আরও ধনী বাফেট
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেটকে আরও ধনী করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রশাসন সম্প্রতি কর সংস্কার নীতি অনুমোদন করায় এই ধনকুবেরের প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বেড়েছে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
গত ডিসেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন কর সংস্কার নীতির অনুমোদন দেয়। এতে কর্পোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশ করা হয়।
অনেকেই ওই সময় এ সংস্কার নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। গণতন্ত্রপন্থীরাও বলছিলেন, এটা ধনী ও গরিবের মধ্যে আরও বৈষম্য সৃষ্টি করবে। ধনীদের সুবিধার জন্য ট্রাম্প এ নীতি গ্রহণ করেছেন। সমালোচকদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন এই বাফেট। তিনি এ নীতির বিরোধিতা করেছিলেন।
বাফেট বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর সংস্কার নীতির কারণেই এ মুনাফায় বাড়তি গতি এসেছে। তার প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে ২০১৭ সালে যে পরিমাণ নিট মুনাফা করেছে তার অর্ধেকই এসেছে শুধু কর সংস্কার নীতির কারণে।
তিনি বলেন, শুধু ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার এসেছে বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে পরিচালনায়। আর বাকি ২ হাজার ৯০০ কোটি এসেছে গত ডিসেম্বরেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের কর সংস্কার নীতিতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো।
গত মাসে ব্রিটিশ ব্যাংক বারক্লেস এক প্রত্যাশায় জানায়, বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হবে। চলমান ধারায় তাদের আয় বাড়তে পারে ১২ শতাংশ। তবে কর সংস্কার নীতি নিয়ে সমালোচনা থাকলেও রিপাবলিকানরা বলছেন, এতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
কংগ্রেসে কর সংস্কার বিলটি পাস হওয়া ছিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের জন্য বড় জয়। ট্রাম্প অবশ্য এটাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কর সংকোচন ও দেশের জন্য উপহার বলে উল্লেখ করেন। তবে বাফেট ধনীদের জন্য উচ্চ করারোপ নীতিতে বিশ্বাসী। তিনি মনে করেন, তাদের জন্য আলাদা কর বিল করা উচিত।
মার্কিন সাময়িকী ফরচুনের তথ্য অনুযায়ী, ওয়ারেন বাফেটের সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
সে হিসাবে শীর্ষ ধনীর তালিকায় তার অবস্থান মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসের পরেই।