কসাইখানায় পরিণত হয়েছে রাখাইন
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জিয়াদ রাদ আল হুসেইন বলেছেন, মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন, সিরিয়া, ইয়েমেন, কঙ্গো ও বুরুন্ডির অনেক স্থান সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের কসাইখানায় পরিণত হয়েছে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি প্রতিরোধে আগে থেকেই সমন্বিতভাবে যথেষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আমি ও আমার কার্যালয় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ সব ঘটনাগুলোর প্রতি বারবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেছে। কিন্তু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যৎসামান্য।
আজ সোমবার জেনেভাতে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জিয়াদ রাদ আল হুসেইন বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অব্যাহত ঘটনার দায় জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। নিরপরাধ মানুষের চরম দুর্ভোগ লাঘবে নিরাপত্তা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত ভেটো ক্ষমতা দিয়ে ঠেকিয়ে দেয়া হয়। ভিকটিমদের কাছে এ জন্য ভেটো ক্ষমতাধারী স্থায়ী সদস্যদের জবাবদিহি করতে হবে।
মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার বলেন, ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগে কোড অব কন্ডাক্ট অনুসরণের জন্য প্রচারণায় স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে ফ্রান্স প্রশংসাযোগ্য নেতৃত্ব দেখিয়েছে। বৃটেনও এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে, যাতে সমর্থন দিয়েছে ১১৫টি দেশ। ভেটো ক্ষমতার ক্ষতিকর প্রয়োগরোধে এখন সময় এসেছে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের এতে সামিল হওয়া।