মাওলানা মোস্তফা আজাদ ও আহমাদুল্লাহ আশরাফের ইন্তিকালে ইউকে জমিয়তের দোয়া মাহফিল
দেশের দুই বরেণ্য শীর্ষ আলেম জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া’র সহ সভাপতি,মিরপুর আরজাবাদ মাদরাসার পরিচালক বীর মুক্তিযুদ্ধা মাওলানা মোস্তফা আজাদ এবং হাফেজ্জী হুজুর (রাহ.) এর বড় ছেলে, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাবেক আমীর মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ-এর ইন্তিকালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী লন্ডনের আস সুবাহ একাডেমিতে উভয় আলেমের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্তসমূহ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে জমিয়ত নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে মহান আল্লাহ’র দরবারে তাঁদের রূহের মাগফিরাত ও জান্নাতুল ফিরদাউসের জন্য দোয়া করা হয়।
ইউকে জমিয়তের জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা শামছুল আলম কিয়ামপুরীর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে আলোচনা অংশ গ্রহন করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের জেনারেল সেক্রেটারী মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ, ট্রেজারার হাফিজ হুসাইন আহমদ বিশনাথী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাফীজ জিয়াউদ্দীন, যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ রিয়াজ আহমদ, তাফসিরুল কোরআন বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মোস্তাক আহমদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা সৈয়দ হোসাইন আহমদ, হাফিজ মাওলানা নিজাম হক্ব, হাজী আসকির মিয়া, আবুল হোসেন প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন উভয় আলেমের ইন্তিকালে সত্যিই দেশ ও জাতীর জন্য যে শুন্যতা হয়েছে তা পুরণের নয়। ইসলামী রাজনিতি ও ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে তাদের অবদান দেশ ও জাতীর কাছে স্বরনীয় হয়ে থাকবে।
আলোচনায় জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন মাওলানা মোস্তফা আজাদ ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্রীয় শাসন এবং আদর্শ সমাজ গড়ার জন্য জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর ব্যানারে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নিরলস কাজ করে গেছেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী ও কেন্দ্রীয় দায়িত্ব আঞ্জামেও তিনি যে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন, সেটা দলের নেতাকর্মীদের জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।
মরহুম মাওলানা মোস্তফা আজাদ সাহেব একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন উল্লেখ করে জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাঠ পর্যায়ে তিনি জানবাজী রেখে বীরদর্পে পাক হানাদার বাহিনীর মোকাবেলায় সশস্ত্র লড়াই করেছেন। দেশের জন্য তাঁর বীরত্বগাঁথা অমর এই কীর্তি জমিয়ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন মাওলানা আহমদ উল্লাহ আশরাফ রাষ্ট্রীয়ভাবে খেলাফত ও সমাজে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে বহু খেদমত করে গেছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি ঈমান-আক্বীদার আন্দোলনে এবং নানা অপসংস্কৃতি ও দেশবিরোধী তৎপরতার প্রতিবাদে হুইল চেয়ারে বসে রাজপথে মিটিং-মিছিলে শরীক থাকতেন। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন এই দেশের আলেম সমাজ ও সৎরাজনীতিবিদদের জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।