লজ্জিত সুরঞ্জিত !
বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের আগেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে প্রতিবাদে আলোচনা সভা আয়োজনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেছেন, “এই ঘটনায় আমি দুঃখিত ও লজ্জিত। এমনটা অসাবধানতা বশত হয়ে গেছে। এটা ঠিক হয়নি। তবে শুধু নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী নয় অন্যান্য সবার ক্ষেত্রে মিডিয়া এভাবে সচেতন হলে গণতন্ত্রও আরো প্রতিষ্ঠিত হবে আমারও উপকৃত হবো।”
সোমবার দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত সভায় তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন। এর আগে রোববার নরসিংদীতে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার আগেই নৌকা সমর্থক গোষ্ঠীর এক বিজ্ঞপ্তিতে তার বক্তব্যকে মিথ্যাচার অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে আজকের এই আলোচনা সভার আহ্বান করা হয়েছিল।পরে বিষয়টি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। তবে আয়োজক সংগঠনের পক্ষে থেকে আলোচনার বিষয় বস্তুর পরিবর্তন বা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি।
সোমবারের আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নরসিংদীতে বিরোধীদলীয় নেত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “আপনার বক্তব্য সমঝোতার পথকে আরো বিষাক্ত করে তুলেছে। যে ভাষা আপনি ব্যবহার করেছেন তা গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না।”
সংলাপ বিষয়ে দু’নেত্রীকে দেওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর চিঠির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চিঠি চালাচালি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। কখনো আমরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে চিঠি চালাচালি করি। কখনো বাইরে থেকে দেয়া হয়। বাইরের উকিল-ব্যারিস্টার দিয়ে কোনো কাজ হবে না। এ সংকট নিরসনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।”
বিরোধী দলকে উদ্দেশ্ করে সুরঞ্জিত বলেন, “আপনারা বলেছেন, সংসদ রেখে নির্বাচন সম্ভব নয়। এটাও সংবিধানের ১২৩ (ক) ও (খ)-তে বলা আছে, সংসদ রেখেও নির্বাচন হতে পারে। আবার না রেখেও নির্বাচন হতে পারে। সংসদের অধিবেশনে আসুন। সেখানে বক্তব্য তুলে ধরুন। সেখানে আলোচনা হতে পারে। আপনা কি চান কতটুকু চান তা বলুন।”
নির্বাচন কমিশন এ সরকারের আজ্ঞাবহ বিএনপির এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, “এই কমিশনের অধীনে নির্বাচন করে আপনারা জয়ী হয়েছেন। আপনি (খালেদা জিয়া) নিজেও নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আপনাদের সিনিয়র নেতারা ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাহলে কেন এটাকে এখন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন?”
সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাম্যবাদী দলের ঢাকা মহানগর সভাপতি হারুন চৌধুরী প্রমূখ।