‘আজীবন’ প্রেসিডেন্ট হলেন সি চিন পিং
চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে আজীবন ক্ষমতায় থাকার বিল পাস করেছে সে দেশের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস।দেশটির সংবিধানে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদ তুলে দিয়ে ‘আজীবন প্রেসিডেন্ট’ বিল পাস করেন রুশ কংগ্রেসের প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধি।
আজ রোববার মধ্যাহ্নের কিছু পর ৩টা ৫০ মিনিটে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে এই বিল অনুমোদনের ঘোষণা দেয়া হয়।দেশটির সংবিধানে প্রেসিডেন্ট পদের বিষয়ে পরিবর্তন আনার জন্য এ বিল পাস করা হয়।
মি. শি নেতৃত্বাধীন দেশটির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সাত সদস্য বিশিষ্ট পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির ভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাব ভোট প্রদান শুরু হয়।সর্ব প্রথম শি রাষ্ট্রীয় সীল মোহরযুক্ত তার কমলা রঙ্রের ব্যালট পেপার একটি লাল রঙের বাক্সের ভিতর রাখেন।তারপর একে একে কমিটির অন্য সদস্যরাও তাদের ভোট প্রদান করেন।এরপর ডেলিগেটদেরকে তাদের ভোট প্রদান করার আহবান জানানো হয়।
ন্যাশনাল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে ২ হাজার ৯শ ৫৮ ভোট।বিপক্ষে ভোট দেন মাত্র ২ জন আর ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন ৩ জন আর একজনের ভোট বাতিল বা নষ্ট হয়। এই বিল পাসের ফলে আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকবেন সি চিন পিং।
চীনে ১৯৯০ সাল থেকে দুই মেয়াদ প্রেসিডেন্ট থাকার বিধান আরোপ করা হয়েছিল।সে হিসেবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সি চিন পিংয়ের মেয়াদ ছিল।
তবে চীনা কমিউনিস্ট পার্টিতে সি চিন পিং’র জনপ্রিয়তা ও প্রভাব দিন এত বৃদ্ধি পায় যে, দলের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুংয়ের ছাড়িয়ে যান। তাঁর নাম ও রাজনৈতিক আদর্শকে সমুন্নত করতে তাঁর পক্ষে দল সমর্থনও দিয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে সংবিধান থেকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মেয়াদ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব ওঠে। আর আজ দেশটির ন্যাশনাল কংগ্রেসে তা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিলো।
অন্যান্য দেশের পার্লামেন্টের মতো কংগ্রেস হচ্ছে চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী আইন প্রণয়নের ক্ষমতাবিশিষ্ট প্রতিষ্ঠান। তবে চীন কংগ্রেসকে ‘রাবার স্ট্যাম্পিং’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা হয়। এই বিল পাসের মাধ্যমে সেটিই আবার প্রমাণিত হলো।কংগ্রেসে কখনো ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বিপক্ষে ভোট দেওয়া হয় না।
তবে এভাবে ‘আজীবন প্রেসিডেন্ট’ বিধানের বিরুদ্ধে সমালোচনা উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।বলা হচ্ছে, সি চিন পিং মাও সে তুং’র পথ ধরেছেন।