টাওয়ার হ্যামলেটসের ৫ বছর মেয়াদি প্ল্যানে বাসিন্দাদের অভিমত দেয়ার শেষ সময় ২৩ মার্চ
টাওয়ার হ্যামলেটস বারার জন্য ৫ বছর মেয়াদি এই উন্নয়ন রূপকল্প তৈরীতে সহযোগিতা করার জন্য বারার বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
টাওয়ার হ্যামলেটস পার্টনারশীপের চেয়ার, নির্বাহী মেয়র জন বিগস এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, জরুরী সার্ভিসসমূহ, স্বেচ্চছাসেবী ও কমিউনিটি সেক্টরের প্রতিনিধিবৃন্দ, ধর্মীয় ও বিশ্বাসী গ্রুপ ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ, যাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে পার্টনারশীপ, তারা নতুন টাওয়ার হ্যামলেটস প্ল্যান চূড়ান্ত করতে বাসিন্দাদের অভিমত জানতে আগ্রহী।
গত জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত পার্টনারীশপের প্রথম সম্মেলনের প্রেক্ষিতে কাউন্সিলের পার্টনার বা অংশিদাররা বারার বাসিন্দা এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রগুলোর ব্যাপারে একটি যৌথ এ্যাকশন প্ল্যান চূড়ান্ত করতে চান।
বারার বাসিন্দাদের জীবন মান উন্নয়ন এবং ব্যবসায় বাণিজ্যের সহায়তায় লক্ষ্য অর্জনে এই উচ্চাভিলাষি পরিকল্পনায় সকল সম্পদ ও দক্ষতাকে সন্নিবেশিত করা হবে। নতুন পরিকল্পনার ওপর একটি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নপত্র কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। আগামী ২৩ মার্চ বেলা ১২টার মধ্যে নিজেদের অভিমত তুলে ধরার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মেয়র জন বিগস বলেন, বৈচিত্র্যতাকে আলিঙ্গন করার শক্তিশালী ইতিহাস রয়েছে আমাদের এবং এই জনপদের কমিউনিটিগুলো হচ্ছে অত্যন্ত প্রাণবন্ত। ৯২ শতাংশ বাসিন্দা অনুভব করেন যে, বিভিন্ন ব্যাকগ্রান্ডের মানুষের একসাথে থাকার মধ্যে অনেক সুফল রয়েছে – যা একটি উচ্চ রেকর্ড। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর বৈষম্য রয়েছে, কেউ কেউ বারার সুযোগ সুবিধার সুফল নিচ্চেছ, আবার কেউ দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করছে।
তিনি বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস পার্টনারশীপের প্রতিজ্ঞা খুবই সাধারণ। আমরা বিশ্বাস করি যে, যদি সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করি, তাহলে বারার বাসিন্দাদের জীবন মান উন্নত করতে পারবো এবং সকল সমস্যা কার্যকরভাবে সমাধান করতে সক্ষম হবো। আমরা সম্মিলিতভাবে টাওয়ার হ্যামলেটস বারার সকল সুযোগ সুবিধা সকলের জন্য নিশ্চিত করতে চাই।
উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত পার্টনারশীপের লঞ্চিং ইভেন্টে ১৬০টি সংগঠনের ২৭০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।