ন্যাশনাল এপ্রেন্টিসশীপ উইকে মাডশ্যূট ফার্ম পরিদর্শনে মেয়র বিগস

eecfন্যাশনাল এপ্রেন্টিসশীপ উইক উপলক্ষে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে নগর ফার্ম পরিদর্শন করেন। আইল অব ডগসের মাডশ্যূট ফার্ম ও পার্কটি শুধুমাত্র বিরল প্রজাতির প্রাণীর আশ্রয়স্থলই নয়, এটি তিনটি নতুন এপ্রেন্টিসশীপের জন্য কাউন্সিলের কাছ থেকে তহবিলও লাভ করেছে।
সেকশন ১০৬ কন্ট্রিবিউশন হিসেবে পরিচিত বড় ধরনের নির্মান প্রকল্প অনুমোদনের সময় স্থানীয় কমিউনিটির জন্য ডেভেলপরদের কাছ থেকে যে অর্থ অনুদান হিসেবে নেয়া হয়, সেখান থেকে এপ্রেন্টিসশীপ স্কীমে তহবিল দেয়া হয়েছে।
২০১৫ সালে কাউন্সিল ইস্ট এন্ড কমিউনিটি ফাউন্ডেশন (ইইসিএফ) এরসাথে ৯৯৩,২৮৪ পাউন্ডের একটি ডিলে সম্মত হয়েছে, যার মেয়াদ হচ্ছে ১৭ বছর।
মাডশ্যূট ফার্মে এপ্রেন্টিসশীপ প্রোগ্রাম সহ বারার বিভিন্ন প্রকল্পে এই অর্থ বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইসিএফ। এই তহবিল দিয়ে মাডশ্যূট ফার্ম তিনটি নতুন পদ সৃষ্টি করেছে। প্রথম বছরের একজন এপ্রেন্টিসকে দ্বিতীয় বছরের জন্য এবং নতুন আরো দুম্বটি এপ্রেন্টিসকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৯ থেকে ২১ বছর বয়সী নতুন এই তিন স্টাফ বর্তমানে ফাইন্যান্স, চাইল্ডকেয়ার ও পশুর দেখভালের কাজ করছে।
এই তিন জনই আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি এনভিকিউ লেভেল ট্রেনিং সম্পন্ন করেছে।
গত সপ্তাহে মাডশ্যূট ফার্ম পরিদর্শনকালে মেয়র জন বিগস দুই জন নতুন এপ্রেন্টিসের সাথে সাক্ষাত করেন। মাডশ্যূটের প্রধান অফিসে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করছেন পপলারের তানজিমা খানম। ২১ বছর বয়সী তানজিমা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এই ফার্মে কাজ করছিলেন। যখন এপ্রেন্টিসশীপ সুযোগ আসে, সাথে সাথে তিনি আবেদন করেন।
তানজিমা বলেন, এখানে পৌঁছাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে, তবে এখন আমি যেখানে, তা নিয়ে খুব সন্তুষ্ট। আমি যতদিন সম্ভব এখানে কাজ করে যাবো।
এপ্রেন্টিস হিসেবে তানজিম যেখানে সারাদিন ডেস্কে বসে কাজ করেন, সেখানে আরেক তরুণ এপ্রেন্টিস ১৯ বছর বয়সী লুই লেগনের অভিজ্ঞতা অনেক ভিন্ন। তিনি কাজ করছেন পশুর পরিচর্যাকারী হিসেবে। তার প্রতিক্রিয়া এমন, কম বয়স থেকেই আমি পশুর সাথে কাজ করতে আগ্রহী। প্রকৃতপক্ষে আমি জুকীপার হতে চেয়েছি। তখন আমি এই সিটি ফার্মটি আবিস্কার করি। এই টিমের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।
নির্বাহী মেয়র জন বিগস বলেন, আমি আমার মেয়রাল এপ্রেন্টিসশীপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ১ হাজার নতুন এপ্রেন্টিসশীপের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই বারায় রেকর্ড সংখ্যক কর্মসংস্থান হয়েছে। ভালো মানের চাকুরিতে আমাদের তরুণরা যাতে সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে আমি বদ্ধপরিকর।
মেয়র বলেন, ইস্ট এন্ড কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের মতো অসাধারণ সব কমিউনিটি সংগঠনগুলো যেভাবে এপ্রেন্টিসশীপের সুযোগ তৈরী করছে, তা নিয়ে আমি গর্বিত। মাডশ্যূট ফার্ম পরিদর্শনকালে আমি এই এপ্রেন্টিসশীপ কর্মসূচি কিভাবে আমাদের তরুণদের কর্মজীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে তা অবলোকন করেছি।
কেবিনেট মেম্বার ফর ওয়ার্ক এন্ড ইকোনমিক গ্রোথ, কাউন্সিলর জসূয়া পেক বলেন, ডেভেলপরদের কাছ থেকে পাওয়া অনুদানের অর্থ কমিউনিটির কল্যানে ব্যয় করার মাধ্যমে আমরা আমাদের তরুণদের ইতিবাচক ভবিষ্যত নিশ্চিত করছি। মেয়রের এপ্রেন্টিসশীপ অঙ্গিকারের ফলে এরি মধ্যে ১৫০টি নতুন সুযোগ তৈরী হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ওয়ার্কপাথ প্রোগ্রাম ২ হাজার ৬০০ জনকে ট্রেনিং ও কর্মসংস্থানে সহযোগিতা করেছে। তিনি বলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে আমরা ইয়াং ওয়ার্কপাথ কর্মসূচি চালু করবো, যার আওতায় ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের কর্মসংস্থানে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button