ব্রিটিশ ২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কার করবে রাশিয়া
লন্ডনের গৃহীত পদক্ষেপের জবাবে ব্রিটিশ ২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কার করবে রাশিয়া। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে বলে শনিবার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ব্রিটেন রাশিয়ান গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর নার্ভ গ্যাস প্রয়োগের অভিযোগে উত্তেজনা বিরাজ করছে রাশিয়া ও লন্ডনের মধ্যে। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স সহ বেশ কয়েকটি দেশ। গুপ্তচর ও তার মেয়ের ওপর নার্ভ গ্যাস প্রয়োগের জন্য মস্কোকে দায়ী করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে ২৩ রাশিয়ান কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বৃটেন। এরই পাল্টা ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। তারা বলেছে, শুধু কূটনীতিককে বহিষ্কারই নয় রাশিয়ায় অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলও বন্ধ করে দেয়া হবে। বন্ধ করে দেয়া হবে সেন্ট পিটার্সবুর্গে ব্রিটিশ কনসুলেট।
গত ৪ মার্চ বৃটেনের সলসবারিতে একটি দোকানের সামনে বেঞ্চের উপর অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ এর পক্ষে কাজ করা সের্গেই স্ক্রিপাল (৬৬) ও তার মেয়ে ইউলিয়াকে (৩৩)। তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হলেও অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ব্রিটিশ সরকার বলছে, তাদের ওপর নোভিচক নামে রাশিয়ার নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করা হয়েছে। এ নিয়ে বৃটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন এ জন্য দায়ী হলো মস্কো। শুক্রবার আরো একটু এগিয়ে কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে নার্ভ গ্যাস হামলা হয়েছে বলেই জোরালোভাবে মনে হচ্ছে। ওদিকে রাশিয়ায় নিয়োজিত বৃটিশ রাষ্ট্রদূত লরি ব্রিস্টোউ’কে শনিবার তলব করা হয় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। বৃটেনের গৃহীত পদক্ষেপের জবাবে রাশিয়া কি করছে তা তাকে জানিয়ে দেয়া হয়।
এরপরই রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। তাতে বলা হয়, মস্কোতে ব্রিটিশ দূতাবাসের ২৩ কূটনৈতিক স্টাফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদেরকে এক সপ্তাহের মধ্যে বহিষ্কার করা হবে।