নটিংহামে বর্ণবাদী নারীদের হামলায় মিসরীয় কিশোরীর মৃত্যু

maryamনটিংহামে ১০ ব্রিটিশ নারীর হামলার শিকার মিসরীয় কিশোরী গত বুধবার মারা গেছেন। ১৮ বছর বয়সী ওই কিশোরীর পরিবার ইন্টারনেটে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে।
তাতে দেখা যায়, নটিংহামের একটি বিপণিবিতান থেকে আসার সময় পাবলিক বাসে ১০ ব্রিটিশ নারী তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর পর গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিসরের অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী নাবিলা আকরাম বলেন, এ ঘটনার পর তিনি এক কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন। দূতাবাস এখন হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছে। কারণ মারিয়ামকে চিকিৎসায় হাসপাতালের অবহেলা ছিল বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।
মারাত্মক আঘাতের কারণে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের পরও হাসপাতল কর্তৃপক্ষ মারিয়ামকে চিকিৎসা না দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মারিয়ামের মা নিসরিন অভিযোগ করেন, বর্ণবাদ ও বৈষম্যের ওপর ভিত্তি করে তার মেয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারী নারীদের তারা কেউ চিনেন না বলে জানান তিনি।
ওই ব্রিটিশ নারীরা প্রথমে মারিয়ামকে পেটাতে শুরু করে। এর পর লাথি ও ঘুষি মারতে থাকলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই নারীরা তার পিছু ধাওয়া করে তাকে পিটিয়ে চলে যায়। সে ওই নারীদের কাউকে চিনত না।
নিসরিন বলেন, নারীরা তাকে ধাওয়া করলে সে একটি বাসে ওঠে চালককে অনুরোধ জানায় যাতে তিনি বাসটি ছেড়ে দেন। কারণ ধেয়ে আসা ওই নারীরা তাকে মেরে ফেলবে। কিন্তু বাসচালকও তার কথা শোনেনি।
প্রকৌশলী হতে চাওয়া মারিয়াম ব্রিটেনের নটিংহাম কলেজে পড়াশোনা করতেন। কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ইউলটান মেলর বলেন, মারিয়াম দেখতে সুন্দরী ও যোগ্য ছিল। তার প্রবল উচ্চাকাক্সক্ষা ছিল। বেঁচে থাকলে সে সফল ক্যারিয়ারের অধিকারী হতে পারত।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button