স্মার্টফোনের তথ্য মনিটরে সক্ষম যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র
তরিকুর রহমান সজীব: অ্যাপল’র আইওএস, গুগল’র অ্যান্ড্রয়েড এবং ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোনের বিভিন্ন তথ্য মনিটর করতে সক্ষম যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) এবং যুক্তরাজ্যের দ্য গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশন হেড-কোয়ার্টার (জিসিএইচকিউ)। জার্মানির সংবাদপত্র স্পিজেল সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে। স্পিজেলের হস্তগত হওয়া এনএসএ’র কিছু অতি গোপন (টপ সিক্রেট) নথি থেকে স্পিজেল এই তথ্য জানিয়েছে। স্পিজেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইফোন, অ্যান্ড্রয়েড এবং ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোনে সার্বক্ষণিক নজরদারি করার সক্ষমতা রয়েছে এনএসএ’র। এসব স্মার্টফোনের কনটাক্ট লিস্ট, এসএমএস এবং ইউজার লোকেশনে তাদের রয়েছে অবাধ প্রবেশের প্রযুক্তিগত সুযোগ। এর বাইরে ব্ল্যাকবেরির ইমেইল সিস্টেমেও প্রবেশ করার প্রযুক্তি রয়েছে এনএসএ’র হাতে। স্মার্টফোনগুলোতে নিজেদের নজরদারি সুবিধাজনক করতে এনএসএ এবং জিসিএইচকিউ পারস্পারিক সহযোগিতার ভিত্তিতেই নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ করে যাচ্ছে। স্পিজেল জানিয়েছে, হাতে পাওয়া এনএসএ’র নথি অনুযায়ী বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের স্মার্টফোনের নিরাপত্তা কোড ভাঙার জন্য তারা বিভিন্ন গ্রুপে কর্মী নিয়োজিত রেখেছে। তাদের প্রচেষ্টার ফলেই আইফোনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৩৮টি ফিচারে সহজেই প্রবেশ করতে পারেন এনএসএ কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০০৯ সালে ব্ল্যাকবেরি তাদের ডাটা এনক্রিপশন পদ্ধতি পরিবর্তন করলে এনএসএ ব্ল্যাকবেরির তথ্যে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের জিসিএইচকিউ দীর্ঘ এক বছরের গবেষণা শেষে আবার ব্ল্যাকবেরির নিরাপত্তা কোড ভাঙতে সমর্থ হয়। স্মার্টফোনের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে তথ্যে নজরদারির পুরো বিষয়টি স্মার্টফোন নির্মাতার অগোচরেই ঘটে থাকে বলে এনএসএ’র ওই নথিগুলোর সূত্রে জানিয়েছে স্পিজেল। এই সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গোপনে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এই আড়িপাতা নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে প্রযুক্তি বিশ্বে।