টাওয়ার হ্যামলেটসে ‘ইয়ং ওয়ার্কপাথ’ নামে যুগান্তকারী প্রজেক্ট চালু
টাওয়ার হ্যামলেটসের কর্মসংস্থান প্রজেক্ট ‘ওয়ার্ক পাথেরম্ব অধীনে’ ‘ইয়ং ওয়ার্কপাথ’ নামে আলাদা আরেকটি প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে।
বারার ১৬ থেকে ২৪ বয়সের তরুণদের ট্রেনিং এবং কাজের সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রথমবারের টাওয়ার হ্যামলেটসে এজাতীয় উদ্ভাবনী প্রজেক্ট চালু করা হলো।
বারাব্যাপী বিভিন্ন ‘ইয়ং ওয়ার্কপাথ’ হাব বা সেন্টার থেকে এই প্রজেক্ট কাজ করবে।
ওয়াকিং সেন্টারের মতো এসব হাবে কাজে যোগ দিতে ইচ্ছুক তরুণরা ট্রেনিং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের তথ্য সহযোগিতা পাবেন। এটি একটি সমন্বিত প্রজেক্ট হিসাবে বারায় অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে পার্টনারশীপ ভিত্তিতে কাজ করবে। কাউন্সিলের কেরিয়ার টিমের সদস্যরা এই কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
১৯ মার্চ, সোমবার নির্বাহী মেয়র জন বিগস কয়েকজন তরুণকে নিয়ে শ্যাডওয়েলের ওয়াটনী মার্কেটে প্রথম ‘ইয়ং ওয়ার্কপাথ’ হাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। সাবেক সানটান্ডার্স ব্যাংকের ব্রাঞ্চটিকে এই হাবে রুপান্তর করা হয়েছে।
শ্যাডওয়েলের হাবটি উদ্বোধন করে মেয়র জন বিগস বলেন, তরুণ জনশক্তির হিসাবে সারাদেশের মধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটস হচ্ছে অন্যতম শীর্ষ একটি স্থান। আবার কাজের জন্য এখানেই রয়েছে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে এসব প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগগুলো টাওয়ার হ্যামলেটসের তরুণরা গ্রহন করার জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নন অথবা তাদের গাইডলাইনের অভাব রয়েছে। আর এজন্য আমাদের ওয়ার্কপাথ পোগ্রামের অধীনে আমরা আলাদা করে শুধুমাত্র তরুণদের টার্গেট করে ‘ইয়ং ওয়ার্কপাথ’ নামে আরেকটি প্রজেক্ট চালু করেছি।
মেয়র বলেন, তরুণরা আমাদের সবচাইতে বড় সম্পদ। বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা তাদেরকে একটি সফল জীবনের দিকে নিয়ে যেতে চাই। আমি আশাবাদী এই প্রজেক্টটি বারার তরুণদের জীবনে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
কবিনেট মেম্বার ফর ওয়ার্ক এবং ইকোনোমিক গ্রোথ কাউন্সিলার যশোয়া প্যাক বলেন, আমি আশাবাদী ‘ইয়ং ওয়ার্কপাথ’ পোগ্রামটি আমাদের তরুণদের কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে বিশেষ সহযোগিতা করবে। বর্তমান ওয়ার্কপাথ পোগ্রামের মাধ্যেমে আমরা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং এডুকেশন পার্টনারদের সাথে কাজ করে চলেছি। ২০১৭/১৮ সালে টাওয়ার হ্যমলেটসের ৭শ বাসিন্দাকে আমরা কাজ পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছি। এছাড়া আরো ১৫০ জন নতুন শিক্ষানবিসি হিসাবে যোগ দিয়েছেন।