স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি
এবার সাবেক স্পিকার পরলোকগত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ও শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হকসহ ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে সরকার।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে এই পুরুষ্কার প্রদান করা হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এবারের পুরস্কারজয়ী এবং তাদের প্রতিনিধিদের হাতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা তুলে দেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এবারের মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ছিলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী এম এম এ রাশীদুল হাসান, বঙ্গবন্ধুর সহচর সাবেক সাংসদ শংকর গোবিন্দ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক সাংসদ এম আব্দুর রহিম, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি ভূপতি ভূষণ চৌধুরীও (মানিক চৌধুরী) মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শহীদ লেফটেন্যান্ট মো. আনোয়ারুল আজিম, শহীদ আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, শহীদ মতিউর রহমান মল্লিক, শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক ও কাজী জাকির হাসান, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ বীর উত্তম ও সাবেক কূটনীতিক আমজাদুল হকও এবার এ পুরস্কার পেয়েছেন।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. এ কে এমডি আহসান আলী, সমাজসেবায় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, সাহিত্যে সেলিনা হোসেন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ড. মো. আব্দুল মজিদ, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং কৃষি সাংবাদিকতায় চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারজয়ী প্রত্যেকে পেয়েছেন ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, তিন লাখ টাকার চেক ও একটি সম্মাননাপত্র।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।