সিরিয়ায় মুখোমুখি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক

syriaউত্তর সিরিয়ার সবুজ পাহাড়ি অঞ্চল থেকে তুর্কি সমর্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের আলাদা করে দেয়ায় উদ্বেগের মধ্যে দিন পার করছেন কুর্দি এবং আরব যোদ্ধারা। তাদের পেছনে আমেরিকান সৈন্যদের আসা যাওয়া ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তাদের উদ্দেশ্য, তাদের উপস্থিতি সকলকে জানান দিয়ে যে কোনো ধরনের হামলা প্রতিহত করা।
সিরিয়া বিরোধী যোদ্ধারা ইতিমধ্যেই হালাওয়ানজি গ্রামের রাস্তা পারাপারের স্থান এবং পাহাড়ের ওপর নজর রাখা যায় এরকম পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থান নিয়েছে। তারা ছাড়াও অন্য একটি পাহাড়ে তুর্কি সেনাদের একটি ঘাঁটি রয়েছে, যেখান থেকে তারা প্রয়োজনে তাদের মিত্রদের সহযোগিতা করতে পারবে।
বিরোধীদলীয় দুই ন্যাটো সদস্যের সেনাবাহিনীর হামলায় যেকোনো সময় জ্বলে উঠতে পারে এই যুদ্ধক্ষেত্র। জনাকীর্ণ এই ভূখণ্ডে যুদ্ধের সম্ভাবনা আরো প্রকট হয়েছে যখন থেকে তুর্কি সেনারা কুর্দি-আরব নিয়ন্ত্রিত নিকটবর্তী মানবিজ শহরে হামলার হুমকি দেয়। কিন্তু ওই স্থানে আমেরিকানদের উপস্থিতিই এ ধরনের হামলার প্রধান অন্তরায়।
গত বৃহস্পতিবার মানবিজ শহরে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা এক বোমার বিস্ফোরণে একজন আমেরিকান ও একজন ব্রিটিশ জোট কর্মীর মৃত্যুতে শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সকল হামলার জন্য তুর্কি ও তাদের মিত্র বাহিনীদের দায়ী করছে কুর্দি কর্মকর্তারা।
সিরিয়ার উত্তরে মানবিজ প্রদেশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এর দক্ষিণে রয়েছে সিরিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর আলেপ্পো এবং উত্তরে সিরিয়া ও তুরস্কের সীমান্ত শহর জেরাবুলাস।
এর আগে গত জানুয়ারিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল জোসেফ ভেটেল জানান, মানবিজ প্রদেশ থেকে এখনই সেনা সরানো হবে না। গত দুই বছর ধরে মার্কিন সেনারা কৌশলগতভাবে সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি নিজেদের কব্জায় রেখেছে।
বিবিসি জানায়, মার্কিন সেনাবাহিনীর এই ঘোষণার ফলে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়ল।কারণ সম্প্রতি আঙ্কারাও ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। -ইউএনবি

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button