হিজাবি তরুণীর ওপর হামলার ঘটনায় ২৫০০০ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান হাসপাতালে জরুরি কক্ষে হিজাব পরিহিত একজন তরুণীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এটিকে মুসলিম-বিদ্বেষী ঘৃণা অপরাধ হিসেবে মনে করছেন ওই তরুণী।
হাসপাতালটির সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, হিজাব পরিহিত ওই তরুণী ইমার্জেন্সি কক্ষের ভিতরে হাঁটছেন। বরফের ওপর পড়ে যাওয়ার কারণে তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটিতে আসেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই হঠাৎ পিছন থেকে একজন লোক এসে হাজির হন এবং তার মাথায় বার বার আঘাত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ১৯ বছর বয়সী ওই নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দেন।
হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষীরা এবং কর্মচারীরা সাহায্য করার জন্য তাৎক্ষণিক সেখানে দৌঁড়ে আসেন।
হামলাকারীর নাম জন ডিলিজ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, দিনের শুরুতে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছিল এবং হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদেরকে তিনি বারবার হয়রানি করছিলেন।
ওই তরুণী হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরো কাজ করা উচিত ছিল।
ভিকটিমের আইনজীবী মাজেদ মোয়াগনি বলেন, ‘ কোনো ব্যক্তি যদি এই ধরনের জঘন্য কাজ এবং ঝামেলার সৃষ্টি করে থাকে, তবে এই ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল পুলিশ আগমনের পূর্বেই তাকে আটক রাখা।’
রোববার সিবিএস নিউজকে তিনি বলেন, ‘ভিডিওটি দেখার পরে এবং আমার ক্লায়েন্টের ঘটনার বিবরণ শুনার পরে, অবস্থা-বিচারে এটি জোড়ালোভাবে প্রমাণ করে যে আক্রমণটি ধর্মীয়ভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘লবিতে পাঁচজন লোক ছিল এবং সেখানে আমার ক্লায়েন্ট ছিলেন একমাত্র হিজাব পরিহিত ব্যক্তি।’১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী প্রায় ২৫,০০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বলে তিনি জানান।
আইনজীবী মোয়াগনি বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন ছিল কারণ তাকে মানসিক চিকিৎসার হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাকে চিকিৎসা করার পরিবর্তে, তারা তাকে ইমার্জেন্সি ওয়েটিং কক্ষে ছেড়ে দেয়।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তাকে মানসিক চিকিৎসা দেওয়ার পরিবর্তে, তাকে রোগীদের পুলে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, যার ফলে এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে।’