বাংলাদেশী ‘ব্যুত্থান’ পেল ব্রুনাই সরকারের স্বীকৃতি
বাংলাদেশের আত্মরক্ষামূলক ক্রীড়া ‘ব্যুত্থান’ ব্রুনাইয়ে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি লাভ করেছে। গত বৃহস্পতিবার দেশটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেয়।
ব্রুনাইয়ে অবস্থানরত বর্তমান বিশ্বে ব্যুত্থানের প্রাণপুরুষ ড. ইউরী বজ্রমুনী আজ শুক্রবার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন। ব্যুত্থানের স্বীকৃতির মাধ্যমে উভয় দেশের ভ্রাতৃত্ব ও পররাষ্ট্র সম্পর্কিত আবস্থান আরো উন্নত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। গ্র্যান্ড মাস্টার ড. ইউরীর উদ্যোগে এবং আন্তর্জাতিক ব্যুত্থান ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে ব্যুত্থান আজ পৃথিবীর বহু দেশে স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং এই খেলার প্রসার এবং জনপ্রিয়তার লক্ষে তিনি কাজ করে চলেছেন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)সহ ব্রুনাইতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসও যথাযথ ভূমিকা পালন করে।
ব্রুনাই থেকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি ব্রুনাই সরকার কর্তৃক ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট ও ক্রীড়া পদ্ধতির জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি লাভের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রুনাই ব্যুত্থান এসোসিয়েশনের পক্ষে একটি সভা ডাকা হয় এবং এতে উপস্থিত থাকেন ব্যুত্থান এসোসিয়েশনের কর্মকতাবৃন্দ এবং ব্যুত্থানচারীগন।
উল্লেখ্য ব্যুত্থান বাংলাদেশের একটি আত্মরক্ষামূলক ক্রীড়া যাকে প্রধানত আত্মশুদ্ধির খেলা নামে অভিহিত করা হয়। ব্যুত্থান একটি সংস্কৃত শব্দ থেকে আসা বাংলা শব্দ। যার অর্থ ‘স্বাতন্ত্রের সাথে প্রতিরোধ’। ইতিমধ্যে ব্যুত্থান ব্রুনাইয়ের বিভিন্ন জেলায় তার কার্যক্রম শুরু করেছে। স্থানীয় ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
ব্রুনাইয়ের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে একটা উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ বলা যায়। যেখানে বাংলাদেশের খেলা ব্যুত্থান অন্যান্য দেশেও প্রসারের মাধ্যমে দেশের ভাবমর্যাদাকে তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের দেশীয় খেলা প্রসারের আলো দেখতে পাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ব্যুত্থান দেশটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও অনুশীলন শুরু করার বিষয়ে কর্মসূচি গ্রহন করছে ব্রুনাই ব্যুত্থান এসোসিয়েশন।
উল্লেখ্য ব্রুনাই ব্যুত্থান এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন ইয়াংবার হুরমাত মুহাইমেন এবং সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সামসুল। যাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বু্রুনাইয়ের বুকে ব্যুত্থানের প্রসার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্যুত্থান পৃথিবীর প্রথম আত্মরক্ষামূলক ক্রীড়া যেখানে সহ:প্রতিযোগিতা বা কো-কম্পিটিশন পদ্ধতির সূচনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে খেলাধুলার জগতে একটা বৈপ্লবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে বলা চলে।
ড. ইউরী বলছেন, ব্যুত্থান শুধু ক্রীড়াই নয়, মানুষের মনোদৈহিক উন্নয়নের পাশাপাশি তার নৈতিক শিক্ষার জায়গায় অনেক বড় গুরুত্ব দিয়ে আসছে। যুব সমাজ গঠনে মাদকবিরোধী সুস্থ সবল জনগোষ্ঠী গঠনে ব্যুত্থান আগামী দিনে রাখতে পারবে অনন্য ভূমিকা।