যে ৫ দফা দাবিতে রাজপথে শিক্ষার্থীরা
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, কোটা বাতিল নয়, সংস্কার চাই। এজন্য তারা ৫ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন।
সেগুলো হলো, কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সকলের জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ না দেওয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রচলিত বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থায় মাত্র ২.৬৩ শতাংশ নাগরিকের জন্য রয়েছে ৩৬ শতাংশ কোটা। এর মধ্যে ১.২ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য শতকরা ০৫ ভাগ, ১.৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধীর জন্য ০১ ভাগ এবং ০.১৩ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পোষ্যদের জন্য শতকরা ৩০ ভাগ কোটা।
এছাড়া ১০ ভাগ নারী এবং ১০ ভাগ জেলা কোটাসহ সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটার পরিমাণ ৫৬ ভাগ। বাকি মাত্র ৪৪ শতাংশ পদের জন্য লড়াই করতে হয় লাখ লাখ মেধাবী চাকরি প্রত্যাশীকে।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতের এই কোটার পরিমাণ আরও ভয়াবহ বলে অভিযোগ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, এই দুই শ্রেণির চাকরিতে কোটার পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশ।