গুলীবিদ্ধ ফিলিস্তিনী তরুণের লাশ ও ইহুদীদের উল্লাস!
একের পর এক ইসরাইলী সেনারা মাটির উঁচু ঢিবি থেকে গাজা সীমান্তে গুলি করে ফিলিস্তিনি তরুণদের ঘায়েল করছিল। কোনো ফিলিস্তিনি তরুণ স্নাইপারদের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়লেই ওয়াচ টাওয়ার থেকে তারা উল্লাসে ফেটে পড়ছিল, করতালি দিচ্ছিল। এধরনের শ’খানেক ইসরাইলী স্নাইপারকে গাজা সীমান্তে মোতায়েনের ঘোষণা আগেই দেওয়া হয়েছিল। ফিলিস্তিনি তরুণদের শান্তিপূর্ণ ও অহিংস প্রতিবাদ বিক্ষোভে গুলি চালানোর দৃশ্য দেখে যারা উল্লাস করছিল তারা হচ্ছে একদল ইসরাইলী তরুণ তরুণী। এ ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ইসরাইলী চ্যানেল টু’এর সাংবাদিক নির ভরি এধরনের একটি ছবি তার টুইটার এ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন।
ইসরায়েলের নাহাল ওজে ওই ওয়াচ টাওয়ারে চার ইসরাইলী তরুণী ও তিন তরুণ ছিল। ইসরাইলী সাংবাদিক নির ভরি এ ছবির ক্যাপশানে লেখেন ‘বেস্ট শো ইন টাউন, রেসিডেন্টস অব নাহাল ওজ ইন দি স্ট্যান্ডস’। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এধরনের ছবির ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকে একে ‘আউটডোর সিনেমার’ সঙ্গে তুলনা করেন। কেউ কেউ তা বিরক্তিকর ও বর্বর বলে মন্তব্য করেন। ইউএস ক্যাম্পেইন’এর নির্বাহী পরিচালক ইওসেফ মুনায়ের এ সম্পর্কে তার টুইট বার্তায় লেখেন, ইসরায়েলে নাগরিকদের এধরনের উল্লাস বিপদজনকও বটে। গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনি তরুণদের বিক্ষোভ শুরু হবার পর গত ১০ দিনে ইসরাইলী স্নাইপারদের গুলিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি তরুণ তরুণী। গুলি ছাড়াও টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে ইসরাইলী সেনারা। ড্রোন ব্যবহার করে ফিলিস্তিনি তরুণদের ওপর এক ধরনের বিষাক্ত গ্যাস ছুড়ে মারার পর এতে আক্রান্তরা জ্ঞান হারাচ্ছেন। ইসরাইলী সেনাদের গুলিতে নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইয়াসের মুরতাজা রয়েছেন। আরো ৬ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত হয়েছেন।