সউদী-ফ্রান্স ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের চুক্তি
সউদী আরবের যুবরাজ মিহাম্মদ বিন সালমান তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের ফ্রান্সে গিয়েছিলেন। তার ওই সফরে ফ্রান্সের সঙ্গে সউদী আরবের মধ্যে ২০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যাদের মোট আর্থিক মূল্য ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। আল আরাবিয়া টেলিভিশনের বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, চুক্তিগুলোর সবগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি সউদী আরবের সূত্রগুলো। যুবরাজের ওই সফরকালেই ফ্রান্সের সঙ্গে চলচিত্র নির্মাণ ও জাতীয় অর্কেস্ট্রা দল নিয়েও চুক্তি করেছে সউদী আরব।
আশ-শারক আল-আওসাত লিখেছে, যে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশটাই গেছে সউদী আরামকো সংক্রান্ত চুক্তিতে। ফ্রান্সের টোটালের সঙ্গে হওয়া সউদী আরামকোর ওই চুক্তি অনুযায়ী সউদী আরবের পূর্ব দিকের এলাকা জুবাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটিতে একটি পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। এর জন্য বিনিয়োগ করা হবে ৯০০ কোটি ডলার।
সউদী আরব ও ফ্রান্সের মধ্যে অস্ত্র চুক্তির ধরন নিয়ে রয়টার্স লিখেছে, যুবরাজের ওই সফরের পর বদলে গেছে সউদী আরবে ফ্রান্সের অস্ত্র রপ্তানিতে এতদিন ধরে অনুসরণ করে আসা পদ্ধতি। এতদিন ধরে ফ্রান্সের ওডিএএস নামের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সউদী আরবে অস্ত্র রফতানির বিষয়টি দেখভাল করত। সউদী যুবরাজের ইচ্ছানুযায়ী এখন থেকে তা দুই দেশের সরকারের মধ্যে হওয়া চুক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। ওডিএএসের সঙ্গে থাকা আগের সব চুক্তি বাতিল করা হবে।
রয়টার্স লিখেছে, চুক্তিগুলোর মধ্যে অস্ত্র কেনার চুক্তি থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। ফ্রান্স বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক দেশ। তারা সউদী আরবকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা হিসেবে দেখে।
সউদী আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা না করার দাবিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর ওপর চাপ দিচ্ছে। কিন্তু ম্যাখোঁ সউদী যুবরাজকে পাশে বসিয়ে রেখেই প্যারিসে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে ইয়েমেনে যুদ্ধরত সউদী আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে তার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। তিনি অবশ্য ইয়েমেনের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন।
কানাডার টরন্টো স্টার জানিয়েছে, এসবের পাশাপাশি সউদী আরবের চলচিত্র নির্মাতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সউদী আরবের জন্য জাতীয় অর্কেস্ট্রা তৈরিতে ফ্রান্সের সাহায্য পেতে চুক্তি করেছে সউদী আরব।