ইইউতে তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি মুসলিম বিশ্বের জন্য কল্যাণকর
তুরস্কের ইইউ বিষয়ক জনৈক সিনিয়র মন্ত্রী বলেছেন, ইওরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের সম্ভাব্য অন্তর্ভুক্তি মুসলিম বিশ্বের জন্য কল্যাণকর হবে।
ইইউ’তে তুরস্কের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি বুরাক এরদেনির বলেন, তুরস্ক পাশ্চাত্য ও মুসলিম বিশ্বের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হবে, কারণ তুরস্ক ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে যে, এটা একটি গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে এর একটি সংবিধান রয়েছে এবং অপরদিকে এটা একটি মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ।
তিনি আরো বলেন, ইইউ’তে তুরস্কের সদস্যপদ লাভ ‘ইসলামোফোবিয়া’ অর্থাৎ ‘অহেতুক ইসলাম ভীতি’র প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ইস্তাম্বুলের সাবাহাত্তিন জায়েম ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত ‘ইসলামোফোবিয়ার পরিস্থিতি মূল্যায়ন: সংস্কৃতি ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে এর প্রভাব’ শীর্ষক
তিনদিনব্যাপী এক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সম্মেলনের আয়োজন করে সেন্টার ফর ইসলাম এন্ড গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে এরদেনির তুরস্কের ইইউ’তে প্রবেশ বিষয়ে ২০০৪ সালের আলোচনা শুরুর ঘোষণার কথা স্মরণ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সময় মুসলিম বিশ্ব থেকে শতাধিক সাংবাদিক হাজির ছিলেন সংবাদ কাভার করার জন্য, কারণ মুসলিম দেশসমূহের জন্য এটা একটি বড়ো ইস্যু।
তুরস্ক ১৯৮৭ সালে ইওরোপীয় ইকোনোমিক কমিউনিটির (ইইউ’র একটি অঙ্গ সংস্থা) সদস্য পদের জন্য আবেদন করে। এটা ১৯৯৭ সালে ইইউ সদস্যপদের জন্য যোগ্য বিবেচিত হয় এবং ২০০৫ সালে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এরদেনির আরো বলেন, পশ্চিম ইওরোপীয় সমাজগুলোতে অভিবাসন একটি মূখ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে তুরস্কের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত অভিবাসী ইস্যুসমূহ অনুধাবনের ক্ষেত্রে তুরস্ক একটি সুবিধা প্রদানকারী দেশ হবে এবং এটা ইওরোপীয়দের ইস্যু বাস্তবায়ন ও সমাধানের নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অবদান রাখবে।
তুরস্কের ও বিদেশী গুণীজনদের উপস্থিতিতে সম্মেলনে সংস্কৃতি রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইসলামোফোবিয়ার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়, সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামোফোবিয়ার খারাপ ও ক্ষতিকর প্রভাব নির্মূল কিংবা হ্রাসের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশলসমূহ ও নীতিমালা গ্রহণের আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।