‘ব্রিটিশ ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে ত্রুটি আছে’

Visaযুক্তরাজ্যের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে দেশটির আইনজীবীদের সংগঠন ‘ল সোসাইটি’। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হলে অভিবাসন বিভাগের প্রত্যাখ্যান করা প্রায় ৫০ শতাংশ সিদ্ধান্ত উল্টে যায়।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সলিসিটারদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ল সোসাইটি বলছে, ত্রুটিপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো অনেকের পারিবারিক জীবন ও ব্যবসার ক্ষেত্রে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলছে। এটি আইনের শাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
ল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট জো ইগান বলেন, সরকারের বিচার বিভাগের তথ্য অনুয়ায়ী, ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর যারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন, তাদের প্রায় ৫০ শতাংশ আদালতের মাধ্যমে ভিসা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ভিসা প্রদানে ভুল সিদ্ধান্ত কিংবা সিদ্ধান্ত প্রদানে অস্বাভাবিক বিলম্বের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এমন প্রতিটি ঘটনা আবেদনকারীর জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় নিয়োজিত মনোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে দেওয়া প্রমাণাদি ঠিকমতো না দেখেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করার ঘটনা ঘটে। যে কারণে ব্রিটিশ ভিসা পাওয়াটা অনেকটা লটারির মতো মনে হতে পারে। যাদের আদালতে আপিল আবেদনের সুযোগ আছে কেবল তাদের পরিসংখ্যান দিয়েছে ল সোসাইটি। অথচ বেশির ভাগ ভিসা আবেদনকারীর ক্ষেত্রে হোম অফিসের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থায় সব আবেদনের আপিল সুযোগ তুলে দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থী ভিসা, কর্ম ভিসা, ব্যবসা কিংবা ভিজিটর ভিসার আবেদনকারীরা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে আদালতে যেতে পারেন না।
মনোয়ার হোসেন বলেন, আপিল অধিকার তুলে দিয়ে হোম অফিস (ব্রিটিশ অভিবাসন বিভাগ) ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিভিউ’-এর (প্রশাসনিক পুনর্মূল্যায়ন) নিয়ম চালু করেছে। কিন্তু এতে প্রতিকার পাওয়া যায় না।
তবে যেকোনো সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন করা যায় বলে জানালেন এই আইনজীবী। ঢাকায় ভিসা আবেদনকারীরাও আইনজীবীর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের আদালতে জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন করতে পারেন। এ আবেদন কিছুটা ব্যয়বহুল বলে বেশির ভাগ ভুক্তভোগী এই সুযোগ নিতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন মনোয়ার হোসেন।
অভিবাসন বিভাগের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, কোনো কোনো আবেদনের সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক বিলম্বের ঘটনা ঘটে থাকে। তবে আদালতে গিয়ে ভিসা পাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায়, আবেদনকারী আদালতে নতুন কোনো প্রমাণ হাজির করেছেন, যা ভিসা আবেদনের সময় দেওয়া হয়নি। -প্রথম আলো

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button