নির্বাচনে সব দল অংশ না নিলে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না ইইউ
সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন না হলে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকরা এ বিষয়টি এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকেও একই ধরনের বার্তা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা দেখতে চায় বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা। এ নিয়ে তারা তাদের উদ্বেগের কথা অব্যাহতভাবে জানিয়ে আসছে। ঢাকায় কর্মরত এক কূটনীতিক বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। কারণ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে কোনো সহিংসতা দেখতে চায় না। গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারে এবং জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশে সৃষ্টি হোক তা কোনোভাবেই সমর্থন করবে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা এরই মধ্যে দুটি দল এবং জোটকে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। দুই নেতাকে সংলাপে বসার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। একই সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতাকে অনুরোধ করেছিলেন আলোচনার জন্য তার দলের দু’জন প্রতিনিধিকে যেন জাতিসংঘে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরুতে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ না দেয়ার কথা শোনা গেলেও এখন তিনি ওই অধিবেশনে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও চিঠি লিখে দুই নেত্রীকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলও একই বক্তব্য দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত সংলাপের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোনালাপের পর গত দু’দিন আগে মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি আবারও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।