দামেস্কবাসীর আসাদেই আস্থার চার কারণ
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই সিরিয়ার নাগরিকরা রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের হাতে ছিল সিরিয়ার পতাকা আর প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদের ছবি। দামেস্কের রাস্তা অন্যান্য দিনের মতোই ব্যস্ত ছিল। দোকানপাট যথারীতি খুলেছে এবং মানুষজন তাদের কাজে গেছে।
সিরিয়ান টেলিভিশন ভবনের সামনে বেশ কিছু মানুষ জড়ো হয়। তাদের সিরিয়া, সেনাবাহিনী ও প্রেসিডেন্ট আসাদের পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়। বাশার-আল-আসাদের এখনো টিকে থাকার পেছনের কারণ ৪টি।
বিদেশি সাহায্য
প্রশিক্ষণ, শিয়া মিলিশিয়ার আদলে অভিজ্ঞ কমান্ডার এবং পদাতিক সেনা সিরিয়ায় পাঠায় ইরান। সিরিয়া সরকারের সমর্থনে তেহরানের পাঠানো যোদ্ধার সংখ্যা ৯০ হাজার। রাশিয়াও সেনা ও সমরাস্ত্র দিয়ে সিরিয়াকে আরো শক্তিশালী করে।
বিদ্রোহীদের মধ্যে বিভাজন
বিদ্রোহীদের মধ্যে বিভাজনও আসাদের পক্ষে গিয়েছে। নমনীয়ভাবে জোটবদ্ধ ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ভেঙ্গে যায়। বিদ্রোহীদের সম্পদ ও যোদ্ধাদের আসাদ বিরোধী অভিযান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে আইএস। বর্তমান সময়ে সেখানে বিদ্রোহীদের অনেকগুলো ভাগ রয়েছে। আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা, জাতিগত পরিচয়, রাজনৈতিক অবস্থান এবং ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে এই বিভাজন।
আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ
পশ্চিমা দেশগুলো এবং আঞ্চলিক শক্তি, যেমন তুরস্ক ও সৌদি আরব আসাদের বিরোধিতায় সরব হলেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সরাতে তারা কোন চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়নি। ২০১৭ সালের মার্চে, জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছিলেন, আসাদ থেকে মুক্তি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির মূল কেন্দ্রে নেই। দুই মাস আগে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, একটি শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে আসাদ থাকতে পারেন।
অভ্যন্তরীণ সমর্থন
আসাদ শাসনের বিরোধীদের অংশ ব্যাপক হলেও, তিনি সিরিয়ায় একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সমর্থক গোষ্ঠি ধরে রাখতে পেরেছেন। তার আলউয়াইট সম্প্রদায়ের বাইরেও এই সমর্থন ছড়িয়ে পড়েছে। সুন্নি সম্প্রদায়ের অনেকেই তার পক্ষ নিয়েছে।