আরও ২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন
বর্তমানগুলোর মান নিয়ে প্রশ্নের মধ্যে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়েছে সরকার। খুলনায় খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহীতে আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দীন খান বুধবার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এনিয়ে বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯টি। আরও আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অনুমোদন পাওয়া দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আছেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম। তিনি আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অনুমোদন নিয়ে ঢাকায় সেটি পরিচালনা করছেন।
২৩টি শর্তে নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকার ছয় দফা সময় দিলেও এখন পর্যন্ত ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি।
বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্নের পাশাপাশি সেগুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষা বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে।
অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ৮ বিশ্ববিদ্যালয়
অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা পড়া শতাধিক আবেদন থেকে আরও আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তৎপরতা শুরু করেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ‘বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আবেদন করেছেন।
শামসুল আলম নামের একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসী শাহ মখদুম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ ‘রওশন এরশাদ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’ স্থাপনের আবেদন করেছেন।
জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এইচএম গোলাম রেজা সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং সংসদ সদস্য শামসুল আলম ভূঁইয়া ‘অ্যাপোলো ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ প্রতিষ্ঠার অনুমোদন চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ ‘সাউথ রিজন ইউনিভার্সিটি’ এবং ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন নামের একজন ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি’ স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছেন।
এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি অব অতীশ দীপঙ্কর বাজরাগজনি স্থাপনের অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ বৌদ্ধকৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি সঙ্ঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।