সোয়াজিল্যান্ড এখন ‘কিংডম অব ইসওয়াতিনি’
সোয়াজিল্যান্ডের রাজা তৃতীয় এমসোয়াতি দেশের নাম বদলে ‘কিংডম অব ইসওয়াতিনি’ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের শহর মানজিনির স্টেডিয়ামে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মানজিনি দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। স্বাধীনতা লাভের ৫০ বছর এবং নিজের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় এমসোয়াতি দেশের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবর্তনের কথা জানান।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন, আফ্রিকান ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও তিনি বেশ কয়েকবারই ‘কিংডম অব ইসওয়াতিনি’ উচ্চারণ করেছিলেন। স্থানীয় সোয়াতি ভাষায় এর অর্থ ‘সোয়াজিদের ভূমি’।
কমনওয়েলথের সদস্য আফ্রিকার এ দেশটি ১৯৬৮ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ব্রিটিশদের উপনিবেশ হওয়ার আগে দেশের নাম ‘কিংডম অব ইসওয়াতিনি’-ই ছিল দাবি করে রাজা তৃতীয় এমসোয়াতি বলেন, স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীকে উপলক্ষ ধরে সোয়াজিল্যান্ড ফিরছে নিজস্ব নামে। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় এ দেশটিতেই এইচআইভি/এইডসের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দেশটির বেশিরভাগ নাগরিকই কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
“আমি ঘোষণা করছি, আজ থেকে আমাদের দেশ পরিচিত হবে কিংডম অব ইসওয়াতিনি নামে,” নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে বলেন এমসোয়াতি। বিভ্রান্তি কাটাতেও ‘সোয়াজিল্যান্ড’ নামটি বদলে ফেলা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
“যখনি আমরা বিদেশে যাই অনেকে আমাদেরকে সুইজারল্যান্ডের বলে গুলিয়ে ফেলে,” বলেন তিনি।
লাল ও কাল রঙয়ের সামরিক পোশাক পরিহিত এমসোয়াতি ছাদখোলা গাড়িতে করে সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হন। সমাবেশে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনও ছিলেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই সাইয়ের প্রথম আফ্রিকা সফর।