রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মদিন
ব্রিটেনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯২তম জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে। তিনি ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সিংহাসনে থাকা রানি।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে হাজারো লোকের সমবেত কণ্ঠে ‘শুভ জন্মদিন’ গানটি গেয়ে রানিকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার বড় ছেলে প্রিন্স চার্লসকে নিয়ে সাধারণ জনগণকে হাত নাড়িয়ে সাড়া দেন।
ব্রিটিশ গায়ক স্টিং, টম জোনস এবং জ্যামি কুলুম ও অস্ট্রেলিয়ান তারকা কাইলি মিনিগের একটি বৈচিত্রময় পপ কনসার্টের পর রানি তার আসন গ্রহণ করেন। সেখানে তার দুপাশে পরবর্তী উত্তরাধিকারী চার্লস ও প্রিন্স উইলিয়াম অবস্থান নেন।
প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেলও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই যুগল ১৯ মে উইন্ডসর ক্যালেলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
তবে প্রিন্স উইলিয়ামের সন্তান সম্ভবা স্ত্রী কেট উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া রানির স্বামী প্রিন্স ফিলিপ হিপ প্রতিস্থাপন সার্জারির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সমসাময়িক গানের পাশাপাশি পুরনো যুগের গানও পরিবেশন করা হয়। এর মধ্যে রানির প্রিয় ‘মাই ফেয়ার লেডি’ এবং ‘ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্ল্ড’ উল্লেখযোগ্য।
এর আগে, দিনটি স্মরণীয় করতে হাইড পার্ক, লন্ডন টাওয়ার, ওয়েলসের একটি দুর্গ এবং উইন্সডর ক্যাসলে গান স্যালুটের মাধ্যমে রানিকে অভিবাদন জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালে ব্রিটেনের সিংহাসনে আরোহণ করেন তিনি। তাই ৬৩ বছর ধরে রাজ সিংহাসন শাসন করছেন তিনি। আর এই দীর্ঘ সময়ে তার জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাটা পড়েনি। রানী ভিক্টোরিয়া কিংবা কুইন এলিজাবেথের মা এত বয়সে জবুথবু হয়ে গেলেও এলিজাবেথ বেঁচে আছেন দাপটে। এই বয়সেও পার্কে পার্কে বেড়াচ্ছেন।
এ বয়সেও রানী জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে। দীর্ঘ ৬ দশকের রাজত্বকালে নিজের সংকল্পে অবিচল ছিলেন। কখনও বিশ্বাস হারাননি নিজর ওপর। একচুল আপোষ করেননি। এত বয়সেও কর্মশক্তি হারাননি রানী। এখনও তার চমৎকার স্মরণশক্তি, প্রচুর উদ্যম আর প্রাণশক্তি। চলাফেরায় এখনও সাবলীল। কোনো কিছুতে হতাশা কিংবা দুঃখ নেই তার।
উল্লেখ্য, বরাবরের মতোই রাণী ২টি জন্মদিন উদযাপন করেন। তার প্রকৃত জন্মদিন হলো, ২১ এপ্রিল এবং অফিসিয়াল জন্মদিন জুন মাসের দ্বিতীয় শনিবার।
সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৮১ সালের পর এখন তার জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। দেশটির ৭০ শতাংশ মানুষ জানায়, যতদিন সম্ভব তার ক্ষমতায় থাকা উচিত। রাজতন্ত্রের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন ৭৬ শতাংশ মানুষ।
লন্ডনের কিংস কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক রজার মর্টিমর বলেন, রানী খুবই জনপ্রিয়, তার ব্যক্তিত্বকে সবাই পছন্দ করেন তিনি দারুণ কাজ করছেন।