রংপুরে ২৯ শিবির কর্মী আটক : নগরজুড়ে গ্রেফতার আতংক
কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মোশাররফ হোসেনের (২৬) হাত পায়ের রগ কর্তনের ঘটনায় পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে মহানগরীসহ আশপাশের উপজেলা থেকে ২৯ শিবির কর্মীকে আটক করেছে। তাদেরকে আগের মামলাগুলোতে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুপুরে ১টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শরিফুল ইসলাম জানান, এডিশনাল এসপির নেতেৃত্বে বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে রংপুর মহানগরী থেকে ২৪ জন, পীরগাছা ও পীরগঞ্জ থেকে ২ জনকে এবং মিঠাপুকুর থেকে ১ জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন মোখলেছার রহমান, বাদশা, সুরুজ, লালু মিয়া, মামুন,আবু জাফর, রেজাউল করিম, দুলু, রেজাউল, আনোয়ারুল, মিজান, মোতালেব, আল আমিন, মোবাশ্বেরুল, আতিক, রশিদ, শহিদুল, আমিনুল, শহিদুল, সাইফুল, মাহমুদুর, গোলাম আযম, আব্দুল নুর, নিয়ামুল হুদা, ইউনুস, শহিদুল, শাহজাহান, মাহমুদুন্নবী, রোকনুজ্জামান। এদিকে এই বিপুলসংখ্যক শিবির কর্মী আটকের পর পুরো নগরীসহ জেলায় গ্রেফতার আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ শাহাবুদ্দিন খলিফা জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। আহতের আত্মীয় স্বজনরা ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুপুর ১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, এ ঘটনায় তারা একটি মামলা দায়েরের জন্য এজহার তৈরি করছেন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ধনজিত ঘোষ তাপস জানান, জড়িত শিবির কর্মীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এদিকে রংপুর মহানগর সভাপতি মোস্তাক আহমদ দাবী করেছেন, দলীয় আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনেই এ ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রশিবিরের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবী করে তিনি বলেন, নিরপরাধ সাধারণ শিক্ষার্থীসহ শিবির কর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দেয়া না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।