দ্বিতীয়বার নির্বাচিত করায় বাসিন্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন জন বিগস
লেবার পার্টির প্রার্থী জন বিগস তাকে দ্বিতীয়বারের মতো টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র নির্বাচিত করায় বারার সকল বাসিন্দার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ফলাফল ঘোষণার পর এক বিশেষ বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই বিজয় প্রমাণ করেছে বাসিন্দারা আমার উপর পুনরায় আস্থা রেখেছেন। আর এজন্য আমি অভিভূত এবং কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে মেয়র হিসাবে আমার যাত্রাটা সুখকর ছিলো না। একটা ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে আমাকে কাজ শুরু করতে হয়েছিলো। কিন্তু মাত্র ৩ বছরে আমরা অনেক এগিয়েছি। আমার আগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক নতুন ১০০০ কাউন্সিল ঘর ডেলিভারী দেয়া শুরু হয়েছে, আমাদের যুগান্তকারী ওয়ার্কপাথ পোগ্রাম বছরে ৫ হাজার লোকের ট্রেনিং এবং কর্মসংস্থানের জন্য কাজ শুরু করেছে এবং আইন শৃংখলা রক্ষায় এবং পরিষ্কার পরিচ্চছন্নতার জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। এখন আমি যত দ্রুত সম্ভব নতুন কেবিনেট নিয়ে আমার উচ্চাভিলাসী মেনিফেস্টু বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করবো।
জন বিগস আরো বলেন, আমি অতীতের ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে কাউন্সিলকে সামনে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি, চেষ্টা করেছি বাসিন্দাদের জন্য উন্নতমানের সেবা প্রদানের। প্রতিশ্রুতি রইলো আগামী ৪ বছর এ লক্ষ্যে আমার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ৩ মে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র নির্বাচনে জন বিগস প্রথম এবং দ্বিতীয় পছন্দ মিলিয়ে ৪৪ হাজার ৮শ ৬৫ ভোট (৭২.৭%) পেয়ে নির্বাচিত হন। টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র নির্বাচনের ইতিহাসে এটি কোন মেয়র প্রার্থীর সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্তি।
জন বিগসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাউন্সিলার রাবিনা খান প্রথম এবং দ্বিতীয় পছন্দ মিলিয়ে লাভ করেন ১৬ হাজার ৮শ ৭৮ ভোট (২৭.৩%)।
প্রথম পছন্দে জন বিগস ৩৭ হাজার ৬শ ১৯ ভোট (৪৮.৪%) এবং রাবিনা খান ১৩ হাজার ১শ ১৩ ভোট (১৬.৯%) লাভ করেছিলেন।
নির্বাচনে তৃতীয়স্থান লাভকারী কাউন্সিলার ওহিদ আহমদ ১১ হাজার ১শ ৯ (১৪.৩%) এবং চতুর্থ স্থান লাভকারী কনজারভেটিবের আনোয়ারা আলী ৬ হাজার ১শ ৪৯ ভোট (৭.৯%) লাভ করেন। এগুলো তাদের প্রথম পছন্দের ভোট।
টাওয়ার হ্যামলেটসের এবারের নির্বাচনে মোট ১শ ৯১ হাজার ২শ ৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ৮০ হাজার ২শ ৫২ জন ভোট প্রদান করেন। শতকরা হিসাবে এই সংখ্যা হচ্চেছ ৪১.৯৬%। এর মধ্যে পোস্টাল ভোট ছিলো ১৯ হাজার ৮৩টি।