ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন উদ্বোধন

oic‘টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নে ইসলামিক মূল্যবোধ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী ৪৫তম সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট এবং মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও প্রগতির বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। ওআইসির সদস্যভুক্ত ৫৭টি দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে উপস্থিত আছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল লিওনিদোভিচ বাগানোভওসহ সংস্থার সদস্যরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।
এখন সম্মেলনে আসা প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখছেন। ইতোমধ্যে সভাপতির বক্তব্য রেখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, ‘ইসলাম ও শান্তির সঙ্গে চরমপন্থার কোনো সম্পর্ক নেই। মুষ্টিমেয় কিছু উশৃঙ্খল গোষ্ঠীর জন্য ইসলামের দুর্নাম হচ্ছে। ইসলামকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’
এছাড়া আরও উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সামনে পাঁচ দফা তুলে ধরেন। এগুলো হলো- ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসে আস্থা রাখা, সাম্প্রদায়িক মানসিকতা বর্জন এবং বিবাদ ও সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার বন্ধ করা; নিন্দুকদের হস্তক্ষেপের সুযোগ না দিয়ে সদস্য দেশগুলোর নিজেদের সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা; আত্মসচেতনমূলক আলোকিত জীবন যাপন; ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করতে এবং মানবিক আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণে ওআইসির সাহসী প্রকল্পের পাশাপাশি ‘ফাস্ট ট্রাক’ উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা এবং সর্বশেষ ইসলামের শাশ্বত মূল্যবোধ- শান্তি, সংযম, সংহতি, সমতা, ন্যায়বিচার ও সহানুভূতি থেকে অনুপ্রেরণা ও শক্তি নেয়া।
মুসলিম বিশ্বে বিদ্যমান নানা ধরনের অভিমত ও ধারণা নিয়ে যে ভিন্নতা রয়েছে তা খোলা মনে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য যে রক্তারক্তি হচ্ছে তা অপ্রয়োজনীয় এবং ধ্বংসাত্মক বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমন এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বিশ্বশন্তি রক্ষায় বাংলাদেশ উজ্জ্বল সাফল্য অর্জন করেছে।
ওআইসির সদস্য দেশগুলোর ২৭ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ১২ জন প্রতিমন্ত্রীসহ প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি এবারের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। বিশেষ অতিথি দেশ হিসেবে রয়েছে কানাডা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়া ফ্রিল্যান্ড কানাডা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button