ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে আরবের বিজয়
তেহরানের সাথে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনের সরে আসাকে ইরানের উপর রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখেছেন সউদী আরব ও এর উপসাগরীয় মিত্ররা।
সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন দ্রুত তেহরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। এতে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতি ইরানের সমর্থনের ব্যাপারে উপসাগরীয় দেশগুলোর উদ্বেগের বিষয়টি প্রতিভাত হয়।
‘প্যারিস এবং লন্ডন ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত পছন্দ করতে পারে না, তবে কেমন হবে যদি ফরাসি বা ব্রিটিশ রাজধানী শহরগুলো সরাসরি ইরানের হুমকির আওতায় চলে আসে?’ সউদী আরবের ইংরেজী ভাষায় আরব নিউজ পত্রিকায় একটি শিরোনাম পাশে ফয়সাল আব্বাস লিখেছেন : ‘চুক্তিটি মৃত’।
একটি কফি শপে সউদী ব্যবসায়ী জিয়াদ বলেন, তেহরানের নিষেধাজ্ঞা হ্রাস করে এমন একটি চুক্তি চ্যালেঞ্জে আমাদের নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, যা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বাধাগ্রস্ত করবে।
‘দু’দিন পরপর ইয়েমেন থেকে আমাদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে আসছে এবং আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, সেগুলো ইরানের তৈরি… দেশটি সিরিয়া, ইয়েমেন, মরোক্কোতে হস্তক্ষেপ করছে। অন্যান্য দেশ এটা গ্রহণ করতে পারে, কিন্তু এখানে সউদী আরবে আমরা গ্রহণ করব না,’- বলেন তিনি।
এক ঘন্টা পরে, অন্তত চারটি বিস্ফোরণ রিয়াদকে নাড়িয়ে দেয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ইয়েমেন থেকে ছোড়া দুটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। সউদী নেতৃত্বাধীন জোট দেশটির রাজধানী ও দেশের বৃহৎ অংশ থেকে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের উৎখাতে লড়াই করছে।