ট্রাম্পের ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ সোমবার এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাসের উদ্বোধন করেন। শুরুতে এ উপলক্ষে তাঁর ইসরাইল সফর করার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়। তাঁর মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প ও জামাতা জার্ড কুশনার অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের প্রতিনিধিত্ব করতে এরই মধ্যে ইসরাইলে পৌঁছেছেন।
দিনটিকে সামনে রেখে গাজা উপত্যকার সীমান্তে সেনা সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে ইসরাইল। সঠিক সংখ্যা জানানো না হলেও অতিরিক্ত দুই ব্রিগেড পদাতিক মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। আরেক ব্রিগেড মোতায়েন হবে পশ্চিম তীরে। এই কড়াকড়ির মধ্যেও বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে গাজাবাসী। বিক্ষোভ না করার বিনিময়ে ত্রাণ সহায়তার টোপ দিতে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে মিসরে ডেকে পাঠানো হয়। দিন শেষে তিনি গাজায় ফেরেন। হামাস সূত্র জানায়, দূতাবাস উদ্বোধনের দিন যেন বিক্ষোভ না হয় তা নিশ্চিত করতে দূতিয়ালির কাজ করছে কায়রো। হানিয়ার মিসরের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল।
ইসরাইলের ৭০তম স্বাধীনতা দিবসে দূতাবাসটি উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। দিনটি ফিলিস্তিনিদের কাছে ‘নাকবা’ বা ‘বিপর্যয়ের দিন’ হিসেবেই পরিচিতি। গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবেও স্বীকৃতি দেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিন তো বটেই, বিশ্বজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেয়। জেরুসালেমের পূর্বাঞ্চলকে ফিলিস্তিন তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে পেতে চায়। আর ইসরাইল পুরো জেরুজালেমের দাবিদার। বাকি বিশ্ব মনে করে, আলোচনার মাধ্যমে রাজধানী ইস্যুটি সমাধানের আগে এ ধরনের সিদ্ধান্ত হঠকারিতা।
আজকের দিনটিকে সামনে রেখে এক টুইট বার্তায় গত শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরাইলে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার বড় ঘটনা ঘটবে সামনের সপ্তাহে। সবাইকে অভিনন্দন!’