জাতিসংঘ ধসে পড়েছে: এরদোগান

erduganফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি সেনাদের সহিংসতা বন্ধে জাতিসংঘ কোনো উদ্যোগ নিতে না পারায় সংস্থাটি কলাপস (ভেঙ্গে পড়া, অকার্যকর হয়ে যাওয়া) করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ান। অন্যদিকে, ইসরাইলের সহিংসতাকে অনৈতিক বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া।
সোমবার তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তার আগে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর একতরফা স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দূতবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদ জানাতে ওইদিন গাজা সীমান্তে ৫০ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি জড়ো হন। তার ওপর নির্বিচার গুলি চালায় ইসরাইলি সেনারা। এতে অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। আহত হয় আড়াই হাজারের বেশি ফিলিন্তিনি।
রয়টার্স ও আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এরদোয়ান বলেন, জাতিসংঘ শেষ (ফিনিশড) হয়ে গেছে। কারণ অবরুদ্ধ গাজায় বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইল যে সহিংসতা অব্যাহত রেখেছে, তার জবাবে জাতিসংঘ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
ইসরাইল স্বৈরাচারী আচারণ করছে উল্লেখ করে এরদোয়ান জানান, গাজায় আহতদের সরিয়ে নিয়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে আঙ্কারা। কারণ গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ইসরাইলি সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ ইসরাইলি সেনাদের সহিংসতার কথা উল্লেখ বলেছেন, ইসরাইল ‘অধর্ম’ করেছে।
রাজধানী মস্কোতে সাংবাদিকদের ল্যাভরভ বলেন, ‘শিশু ও নিরাপরাধ মানুষসহ এতগুলো শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী সন্ত্রাসী (ইসরাইলের বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী বলা হয়েছে) হতে পারে আমি বিশ্বাস করি না। এটি অনৈতিক (অধার্মিক) বিবৃতি।’
তুর্কি প্রেসিডেন্টের ওই মন্তব্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইল থেকে দূতবাস প্রত্যাহারের ঘোষণার দেওয়ার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এমন কথা বলেন। এর আগেই তেলআবিব থেকে দূত প্রত্যাহার করে নেয় আঙ্কারা। অবশ্য এর পর আঙ্কারা থেকে তেলআবিবও দূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ছয় সপ্তাহব্যাপী ভূমি দিবস উপলক্ষে গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন কর্মসূচি পালন করেন ফিলিস্তিনিরা। সোমবারের হতাহতসহ দেড় মাসে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে ১১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button