কোথায় যুবরাজ বিন সালমান?

muhammadসৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান হঠাৎ করেই আড়ালে চলে গেছেন। একমাসের অধিক সময় ধরে মিডিয়াতে অনুপস্থিত। এ নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে অনেকের।
গত ২১ এপ্রিল রাজপ্রাসাদে গোলাগুলোর যে ঘটনা ঘটেছিল, বিন সালমানের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পেছনে এর ভূমিকা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সৌদি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়, গত এপ্রিলে রিয়াদে রাজপ্রাসাদের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় এক ড্রোন ভূপাতিত করে নিরাপত্তা কর্মীরা। সে সময় মূলত সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। দাবি করা হয়, সে সময়েই যুবরাজ সালমান আহত হন। রিপোর্টে বলা হয়, হামলাকারীদের বেশির ভাগই এসেছিল ইরান থেকে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ সেটিকে রাজ প্রাসাদের আশেপাশে খেলনা ড্রোন উড়ার ঘটনা বলে দাবি করেছে।
এমন একজন মানুষ ‍যিনি জনসাধারণ ও মিডিয়ার চোখে থাকতে পছন্দ করেন তিনি হঠাৎ আড়ালে চলে যাওয়ায় বিষয়টি কৌতুহলের জন্ম দিয়েছে। এপ্রিলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রিয়াদ সফরের সময়ও যুবরাজ ক্যামেরার সামনে আসেননি।
৩২ বছর বয়সী এই তরুণ গত গ্রীষ্মে তার চাচাত ভাইকে ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজের পদ থেকে সরিয়ে জেলে বন্দী করেন। দূর্নীতি বিরোধী অভিযানের সময় পরিবারের অনেক প্রিণ্সকে জেলে পাঠোনো হয়, সেই সাথে প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতাদেরও বন্দী করা হয়।
নিজে ক্রাউন প্রিন্স পদে অধিষ্ঠিত হন। যুবরাজ মুহাম্মদ রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। হয়েছেন সৌদি আরবের সর্বময় কর্তা।
তবে ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিন সালমানের বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম সৌদি আরবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তরুণদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠা যুবরাজ সালমানের এ অন্তর্ধান এখন আলোচনায় বিষয় হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button