অর্থাভাবে বিয়ে হচ্ছে না ইরাকি তরুণ-তরুণীর
বিয়ের স্বপ্ন যেন দূরঅস্ত ইরাকের বহু তরুণ-তরুণীর জন্য। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলের বহু তরুণ-তরুণী এখনও বিয়ের মতো জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ থেকে বঞ্চিত। আর্থিক দুর্বলতাই এর অন্যতম প্রধান কার। ২০১৪ সালে আইএসের আগ্রাসনের পর শহরটির অর্থনৈতিক ভিত্তি ধসে পড়ে। ২০১৭ সালে আইএসের পতনের শহরটি ইরাক সরকারের নিয়ন্ত্রণে এলেও এর পুনর্গঠনে এখনও অনেক সময়ের প্রয়োজন। মসুলের মেয়ে খুলুদ। তার স্বপ্ন বরের বেশে এক রাজপুত্র এসে তাকে তুলে নিয়ে যাবে। কিন্তু তার স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে হানা দেয়। তার আশঙ্কা, আর কখনই হয়তো তার বিয়ে হবে না।
২৪ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক খুলুদ বলেন, ‘এখনও একটা স্বামী বা একটা চাকরি জুটল না আমার। ঘরের ছোটখাটো কাজের মাঝে আমার জীবন বন্দি হয়ে গেছে।’ তার জীবন যেন বাবা-মার বাড়িতে বন্দি হয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। ঠোঁটের কোণে দুঃখের হাসি হেসে খুলুদ আরও বলেন, আমার বড় বোনের (বয়স ৩৭) ইতিমধ্যে চারটি সন্তানের মা হয়েছেন। একজন স্বামী পাওয়ার সম্ভাবনা এখনও আমার আছে। তবে ২৯ বছর বয়সী আমার আরেক বোন হতাশ হয়ে পড়েছে।’ খুলুদের মতো মসুল শহরের বহু মেয়েই এখন বিয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। বিয়ের আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে মোমেন আবদুল্লাহর।