এক লাখ রোহিঙ্গা ভাষানচরে স্থানান্তর হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রত্যাবাসনের আগ পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ভালোভাবে রাখার উদ্দেশে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাষানচরে স্থানান্তর করা হবে।
বুধবার নিজ কার্যালয়ে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএনএফপিএ’র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেমের সাথে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাষানচরে স্থানান্তর করা হবে। প্রায় ছয় হাজারের মতো লোক সেখানে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এখানে বর্ষার সময় রোহিঙ্গারা অবর্ণনীয় দুর্দশার মুখে পড়বে। তাদের ভোগান্তি লাঘবেই ভাষানচরে সাময়িক আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রত্যাবাসনের আগ পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়। স্থানীয়রা তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
তিনি এসময় নাতালিয়া কানেমকে জানান রোহিঙ্গা শিবিরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬০ জন শিশু জন্ম নিচ্ছে। তাদের প্রতিও মানবিক সহায়তা পৌঁছানো হচ্ছে।
এসময় ইউএনএফপিএ’র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম রোহিঙ্গাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি উদ্বাস্তুদের প্রতি মানবিক আচরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নে সফলতায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের প্রশংসা করেন।
ড. নাতালিয়া কানেম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও জেন্ডার সমতায় বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইউএনএফপিএ’র অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে – যা প্রশংসনীয়।
প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন। -ইউএনবি