টাওয়ার হ্যামলেটস চিলন্ড্রেন সার্ভিসের অগ্রগতিতে অফস্টেডের সন্তোষ প্রকাশ
টাওয়ার হ্যামলেটস চিলন্ড্রেন সার্ভিসের অগ্রগতি কার্যক্রমে আবারো সন্তোষ প্রকাশ করেছে অফস্টেড। চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তাদের তৃতীয় ভিজিটটি সম্পন্ন হয়। এই তৃতীয় ভিজিট শেষে এক চিঠিতে অফস্টেডের ইন্সপেক্টর ব্রেন্ডা ম্যাকললিন টাওয়ার হ্যামলেটস চিলন্ড্রেন সার্ভিসের অগ্রগতিতে খুবই উৎসাহব্যাঞ্জক হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় মনিটরিং ভিজিটেও অফস্টেড চিলন্ড্রেন সার্ভিসের অগ্রততিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলো।
অফস্টেড ইন্সপেক্টর ব্রেন্ডা ম্যাকললিন বলেন, কাউন্সিলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কঠোর পরিশ্রমের কারনে এই সার্ভিসে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। নেতৃবৃন্দ এবং ম্যানেজাররা স্থায়ী পরিবর্তনের লক্ষ্যে তাদের কাজে উল্লেখ করার মতো অঙ্গীকার এবং দৃঢ়তা প্রদর্শন করে চলেছেন। এই সার্ভিসের সকল ক্ষেত্রেই অগ্রগতি এখন আশাব্যাঞ্জক।
উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে অফস্টেডের প্রতিবেদনে টাওয়ার হ্যামলেটস চিলন্ড্রেস সার্ভিসের সমালোচনা করে এর মান যথোপযুক্ত নয় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিলো। এর পর অফস্টেড নিয়মিতভাবে এই সার্ভিসের অগ্রগতি মনিটর করার ঘোষনা দিয়ে এর উন্নতিতে একটি গাইড লাইন প্রদান করে কাউন্সিলকে। এই গাইড লাইন মোতাবেক টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল কাজ শুরুর পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মনিটরিং রিপোর্টে ধারাবাহিকভাবে অফস্টেড চিলন্ড্রেন সার্ভিসের অগ্রগতি কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করলো।
২০১৬ সালের এপ্রিলে অফস্টেডের নেতিবাচক রিপোর্টের পরপরই টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল চিলন্ড্রেন সার্ভিসের মানোন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত ৪.৮ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ দিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহন করে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে পূর্নাঙ্গ অফস্টেড ইন্সপেকশনে যাতে গুড রেটিং লাভ করতে পারে এজন্য এই পরিকল্পনা সাজানো হয়। একইসাথে কাউন্সিল চিলন্ড্রেন সার্ভিস ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান নামে একটি বিশেষ পরিকল্পনাও ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন এর কাছে প্রদান করে।
এদিকে টাওয়ার হ্যামলেটসের চিলন্ড্রেন সার্ভিস বিষয়ে অফস্টেডের তৃতীয় রিপোর্টে ইতিবাচক পরিবর্তনের চিত্র উঠে আসায় বারার নির্বাহী মেয়র জন বিগস সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, চিলন্ড্রেন সার্ভিস দ্রুত গতিতে অগ্রগতি সাধন করে চলেছে। ডিপার্টম্যান্ট অব এডুকেশন কতৃক চিলন্ড্রেন সার্ভিস ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান অনুমোদন লাভের পর মোট ৩টি ভিজিট সম্পন্ন হয়েছে এবং সবগুলোতেই আমরা যে সঠিক পথে রয়েছি তা উল্লেখ করা হয়েছে।
মেয়র জানান, এবারের ভিজিটটিতে ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের সাথে কাজের চ্যালেঞ্জের দিকে বেশি নজর দেয়া হয়েছিলো। আমাদের সোশ্যাল ওয়ার্কার তথা স্টাফরা এই অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। আর এজন্য তাদের প্রতি আমার বিশেষ ধন্যবাদ রইলো।
তিনি বলেন, শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি কাউন্সিলের কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অফস্টেডের মনিটরিং রিপোর্টটি প্রমাণ করলো চিলন্ড্রেন সার্ভিসের মানোন্নয়নে আমরা উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি সাধন করে চলেছি এবং এই অগ্রগতি শিশুদের উপর যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে তাই আলোকপাত করা হয়েছে। আমি চাই যত দ্রুতসম্ভব পরিবর্তন আনতে এবং এও জানি আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকী। তাই আমাদের এখনই স্বস্তি প্রকাশের সময় হয়নি। তবে অফস্টেডের ইতিবাচক রিপোর্ট পরিষ্কার বার্তা দিলো যে, আমরা সঠিক পথে রয়েছি এবং আমাদের কাজের উপর ইন্সপেক্টরদের আস্থা রয়েছে।
চিলড্রেন, স্কুলস এন্ড ইয়ং পিপলস বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার ড্যানি হ্যাসেল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, অবশ্যই আমাদের আরো অনেক কাজ বাকী। তারপরও অফস্টেডের রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে আরা সঠিক পথে রয়েছি। আর এজন্য এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার বিশেষ ধন্যবাদ রইলো।