টাওয়ার হ্যামলেটসে স্থানান্তর হচ্ছে চীনা দূতাবাস
চায়নার দূতাবাস টাওয়ার হ্যামলেটসে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চায়নার রাষ্ট্রদূতের সাথে যোগ দেন টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস। বারার টাওয়ার হিল এলাকায় অবস্থিত সাবেক রয়্যাল মিন্ট এর জায়গা নির্মান করা হবে চায়নিজ এম্বেসির নতুন কমপ্লেক্স। চীনা সরকার এই জায়গাটি কিনে নিয়েছে এবং পূণ:উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বিশ্বের বৃহত্তম কূটনৈতিক মিশনগুলোর একটি হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু হবে এখান থেকে।
এ প্রসঙ্গে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস বলেন, চীনা দূতাবাস কর্তৃপক্ষ আমাদের ঐতিহাসিক রয়্যাল মিন্ট ভবনকে তাদের নতুন ঠিকানা হিসেবে বেছে নেয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। টাওয়ার হ্যামলেটসে তাদের এই স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত এই বারার প্রতি তাদের আস্থারই প্রতিফলন এবং আমাদের এই বারা যে বসবাস ও কাজের জন্য চমৎকার একটি জনপদ ও সবাইকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ, সেটাই প্রতিষ্ঠিত হলো চীনা দূতাবাসের এই স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে। স্থানান্তরের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত এবং যখন দূতাবাসের দরোজা সবার জন্য উন্মুক্ত হবে, তখন তাদের সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চায়নীজ এম্বেসেডর লিউ জিয়াওমিং বলেন, দূতাবাস হচ্ছে একটি দেশের প্রতিচ্ছবি। আমাদের কূটনৈতিক মিশনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পর্টল্যান্ড প্ল্যাসের বর্তমান দূতাবাসকে অনেক সংস্কার ও উন্নয়ন করতে হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে চীনের দায়িত্ব ও প্রভাবকে বিবেচনায় নতুন স্থানে দূতাবাস স্থাপন সময়ের দাবি। আমি বিশ্বাস করি যে, পূণ:সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ শেষে চায়নীজ এম্বেসির নতুন এই স্থাপনা লন্ডনের অন্যতম একটি ল্যান্ডমার্কে পরিণত হবে এবং নতুন যুগের চায়নার নতুন মুখ হয়ে ওঠবে। আমি আশাবাদি আমাদের দুই দেশ যৌথভাবে চায়না-ইউকে সম্পর্কের নতুন স্বর্ণ-যুগ রচনা করবে। প্ল্যানিং অনুমোদনে সহযোগিতা করায় রাষ্ট্রদূত লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটসকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক রয়্যাল মিন্ট বিল্ডিংটির নির্মান কাজ শেষ হয় ১৮১০ সালে এবং ১৮১২ সাল থেকে এখানে কয়েন ও মিলিটারি মেডেল তৈরীর কাজ শুরু করে রয়্যাল মিন্ট।