কারাগারেই ঈদ করতে হবে খালেদা জিয়ার
পবিত্র রমযান শেষে কারাগারেই ঈদ উদযাপন করতে হবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে। কুমিল্লার দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিল আবেদন (সিপি ফাইল) করতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৪ জুন এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিনও ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। অপরদিকে ঢাকার দু’টি মানহানি মামলায়ও জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। আগামী ১৬ জুন ঈদ উদযাপিত হবে। ফলে ঈদের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলছে না।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্র ও আসামী উভয়পক্ষের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার কুমিল্লার দুই মামলার জামিনের বিষয়ে এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আপিলের আবেদন শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, ড. মো. বশির উল্লাহ, এ কে এম দাউদুর রহমান মিনা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন ও মো. শফিকুজ্জামান রানা।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, আমিনুল হক, মীর মো. নাসির, সানাউল্লাহ মিয়া, কামরুল ইসলাম সজল, এহসানুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের পর সুপ্রিম কোর্টের ছুটি শেষে আগামী ২৪ জুন আদালত বসবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর হবে ১৬ জুন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল আদালত খোলার পর প্রথম দিন ২৪ জুন পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিল করতে বলা হয়েছে।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদন্ডের রায়ের পর চার মাস ধরে বন্দী খালেদা জিয়া ওই মামলায় আপিল করে জামিন পাওয়ার পর ঈদের আগেই তার মুক্তির আশা করেছিলেন বিএনপি নেতারা।