ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডে মে’র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ
গাজায় সাম্প্রতিক বিক্ষোভে ইহুদিদের হাতে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনী জনগণের হতাহতের ঘটনায় দখলদার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’র কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
গত বুধবার ডাউনিং স্ট্রীটে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মে নেতানিয়াহুকে এও জানান, তিনি ইসরাইলিদের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’কে স্বীকার করেন। বৈঠকে নেতানিয়াহু দাবি করেন, হামাসের প্ররোচনায় কিছু বিক্ষোভকারী ইসরাইলিদের হত্যা ও অপহরণ করার চেষ্টা করছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এপ্রিল থেকে মে মাসের ছয় সপ্তাহের মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে ১২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনী নিহত ও আরো প্রায় ১০,০০০ জন আহত হয়েছেন। গাজা স্ট্রিপ ও ইসরাইলের মধ্যেকার সীমান্ত এলাকায় ধারাবাহিক বিক্ষোভে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৫ মে এক দিনেই ৬২ জনকে হত্যা করা হয়। এদিন জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাসের স্থানান্তরের প্রতিবাদে প্রায় ৪০,০০০ হাজার ফিলিস্তিনী একত্রিত হয়েছিল।
গাজার এই গণহত্যার পর মে বলেছিলেন, ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক লাইভ অস্ত্রের ব্যবহার ‘গভীরভাবে বিরক্তিকর’ এবং বর্বর ইসরাইলি সেনাদের সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনি এই ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বুধবার নেতানিয়াহুকে মে তার সরকারি অফিস ডাউনিং স্ট্রিটে স্বাগত জানান। তারপর তারা মুখোমুখি বসে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে মে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন যে, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে ব্রিটেন সবসময়ই স্বীকার করে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনী নিহত হওয়া এবং গাজা পরিস্থিতির অবনতি উদ্বেগজনক।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিভাবে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ ঘটানো যেতে পারে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি বলে আমি আশা করছি। একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ সম্পর্কে একটি উপায় খুঁজতে পারি।’
পরে নেতানিয়াহু ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গেও দেখা করেন। বৈঠকে জনসনও স্বাধীন তদন্তের জন্য মে’র আহ্বানের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে জনসন বলেন, ‘ইসরাইল ও গাজার জনগণের শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিরাপদে বসবাসের অধিকার রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শান্তি প্রচেষ্ঠাকে আরো কঠিন করে- এমন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা ইসরাইল ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রতি অব্যাহতভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছি।’