নারী এশিয়া কাপ
ভারতকে উড়িয়ে শিরোপা জয় বাংলাদেশের
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের আগের ৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় মেয়েরা। ইনিংসের শেষ বলে জাহানারা ২ রান নিয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন।
সেমিফাইনালের মতো আজকেও আয়েশা-শামীমার ব্যাট থেকে ওপেনিংয়ে শুভসূচনা আসে বাংলাদেশের। তবে সপ্তম ওভারের শেষ দুই বলে পরপর দুই উইকেট পড়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। পুনম যাদবের বলে ৩৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার।
ক্রিজে আসেন ফারজানা ও নিগার। ধীরে ধিরে খেলতে থাকলেও পুনম যাদবের বলেই ৫৫ রানের মাথায় আউট হয়ে ফিরে যান ফারজানা। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। অন্যদিকে নিগার খেলতে থাকেন হাত খুলে। কিন্ত ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়, সেই পুনম যাদবের বলেই এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ৮৬ রানের মাথায় বাউন্ডারির একটু আগে ধরা পড়েন নিগার।
তবে তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ছিল চারটি দৃষ্টি নন্দন চারের মার। ১০ রান পরেই আবার উইকেটের পতন। এবার ফাহিমা স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। এদিকে রুমানা খেলতে থাকেন ধীরে সুস্থে। বের করতে থাকেন সিংগেল। তাকে সংগ দেন সানজিদা ইসলাম। রুমানা রান আউট হয়ে ফিরে গেলেও তার দৃড়চিত ব্যাটিংয়েই জয় তুলে নিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান।
এর আগে নারীদের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফাইনালে বাংলাদেশকে ১১৩ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত। শুরুতে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ সালমা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২ রান তোলে ভারতীয়রা।
মালয়েশিয়ার কুলালামপুরে কিনারার একাডেমি ওভালে ম্যাচের শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যাসনদের চেপে ধরেন তিন স্পিনার নাহিদা, সালমা আর খাদিজাতুল কোবরা। দলীয় ১১ রানে নাহিদার দুর্দান্ত থ্রুতে রান আউটে কাটা পড়েন ওপেনার স্মৃতি। এরপর ৪ রান করা দীপ্তি শর্মা বোল্ড করেন পেসার জাহানারা আলম।
ভারতের রান তখন ২ ইউকেটে ২৬ থিতু হওয়ার আগে আরেক ওপেনার মিতালি রাজকে তুলে নেন খাজিদাতুল কোবরা। সুবিধা করতে পারেননি আমেজা পাতিল। ফিল্ডিংয়ে বাধা দেওয়ার কারণে আউট হন তিনি। ভারতের স্কোর তখন ৩২ রান। এরপর ১১ রান করা বিদ্যাকে বোল্ড করেন অধিনায়ক সালমা।
১৩তম ওভারে ভেদা কৃঞ্চমূর্তিকেও তুলে নেন অধিনায়ক সালমা। তাঁকে বোল্ড আউট করেন এই স্পিনার। ১৫তম ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন রুমানা আহমেদ। দ্বিতীয় বলে তাঁকে ডাউন দ্য উইকেট এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তানিয়া ভাটিয়া। তিন বল পর শিখা পাণ্ডেকে শামীমা সুলতানার ক্যাচে পরিণত করেন রুমানা।