ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক সাক্ষাত
সব জল্পনা-আর কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর ঐতিহাসিক মিটিংয়ে এক হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয় নেতা কিম জং উন। পুরো পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখলো ইতিহাসের এক বিরল ঘটনা এবং নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেলে।
এটাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর একে অপরের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক হঠাৎ করেই নাটকীয় মোড় নিয়েছে! আর সে ইতিহাসের সাক্ষী হল মঙ্গলবারের সকালটি।
ট্রাম্প আর কিম, দু’জনের মধ্য কথার পৃষ্টে কথার লড়াই, উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, যুক্তরাষ্ট্রকে চোখ রাঙানো, জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলার হুমকির কথাগুলো মাস খানেকের বেশি হয়নি! এত অল্প সময়ের ব্যবধানে দৃশ্যপট পাল্টে কিম আর ট্রাম্প এক টেবিলে বসবেন সেটা ভাবাই ছিল দুষ্কর।
স্যান্টাসে আইল্যান্ডের বিলাসবহুল হোটেলে একজন আরেক জনের দিকে এগুচ্ছিলেন, আর যখনি দুই দেশের পতাকার পাশে এলেন, সেই কাংখিত মুহূর্ত ট্রাম্প আর কিম হ্যান্ডশেক করে পৃৃথিবীকে জানান দিলেন শান্তির বার্তা।
সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট বললেন কিম এর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ভালো রকমের উন্নতি ঘটেছে।
এ সাক্ষাতে খুবি আনন্দ আর তুষ্টি অনুভব করছেন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমাদের মধ্য খুব অসাধারণ একটা আলোচনা হতে যাচ্ছে।আর এটা অবিশ্বাস্য সাফল্য বয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বৈঠকে ট্রাম্প আর কিম দুজনকে পাশাপাশি খুব প্রসন্ন চিত্তে দেখা গেছে। বছর খানেক এরকম ভাবাটাই যেন ছিল দুঃস্বপ্ন বা অবাস্তব কোনো কিছু।
কিম তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, এখানে আসাটা সহজ কোনো বিষয় ছিলোনা। আমরা সব বাঁধা অতিক্রম করেই এখানে উপস্থিত হয়েছি।
ট্রান্সলেটরদের পাশে রেখে ট্রাম্প এবং কিম ইতিমধ্যে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক সেরে নিয়েছেন। আর তাতে সময় লেগেছে ৪০-৫০ মিনিট।
দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে মূলত আলোচনা হবে নিজেদের মধ্য উত্তেজনা প্রশমন আর কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণুনিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে।