আরিফ-কামরানের কোলাকুলিতে সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত
ঈদুল ফিতরের নামাজ ও মোনাজাত শেষ হতেই সিলেটের শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের কুশল বিনিময় করলেন সিলেট সিটি করপোরশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। এ সময় তাঁরা একে অন্যের সাথে কর মর্দন ও কোলাকুলিও করেন। সাবেক ও বর্তমান মেয়রের এই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক দেখে উপস্থিত মুসল্লিরাও অভিভূত হন।
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো শনিবার সিলেটে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে অন্যান্য বারের মতো ঈদগাহর পাশাপাশি বিভিন্ন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় ঈদ জামাতের। এসময় এক কাতারে দাঁড়িয়ে সিলেটের দুই মেরুর দুই নেতা ঈদের জামাত আদায় করেন। নামাজ পড়ে হাসিমুখে একে অপরকে টেনে নেন বুকে। এসময় একে অন্যের ব্যক্তিগত খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি নগরবাসীর মঙ্গলও কামনা করেন তখন। সাবেক ও বর্তমান মেয়রের এই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক দেখে উপস্থিত মুসল্লিরাও অভিভূত হন। তারা দুইজনের এ রকম পথচলাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। গত ১৩ জুন বুধবার ঘোষিত হয়েছে সিটি নির্বাচনের তফসিল। এই নির্বাচনের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফ ও কামরান। বিএনপির হয়ে আরিফুল হক চৌধুরী আর আওয়ামী লীগের হয়ে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের বিগত নির্বাচনের পর থেকে আরিফুল হক চৌধুরী ও বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মধ্যে কিছুটা দূরত্বের সৃষ্টি হয়। দুইজনের দেখা হতো বিভিন্ন সভা-সেমিনারে ও সামাজিক অনুষ্ঠানে। তবে তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত কথাবার্তা ছিল একেবারেই সীমিত। কিন্তু ইদানীং দুইজনের মধ্যে বেশ আন্তরিকতা দেখা যাচ্ছে। ফুটপাতের অবৈধ দখল উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নগরভবনের উদ্যোগে জেলা পরিষদে সেমিনারে দুইজনেই বসেছেন পাশাপাশি। তখন তারা আরো সুধীজনদের সামনে সবাই মিলে সিলেটকে সুন্দর ও পরিকল্পিতভাবে সাজানোর লক্ষে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে এই সম্প্রীতিটুকুরই প্রয়োজন বেশি ছিল সবচেয়ে বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত অনেকে। নির্বাচনী লড়াইয়ের আগামী দিনগুলোতে এই সম্প্রীতিটুকু বহাল থাকবে এমন প্রত্যাশা করেন সকলে। তাদের ভাষায়, এরকম সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে সিলেট নগরীর উন্নয়ন কখনো থমকে দাঁড়াবে না।